মাথা খুলেছে ফরহাদ রেজার!

SHARE

ম্যাচটা জিতে যেতেই ড্রেসিংরুম থেকে সতীর্থরা দৌঁড়ে ঢুকলেন মাঠে। সবাই কাঁধে তুলে নিলেন ফরহাদ রেজাকে। মিরপুরে আজ ডিপিএল টি-টোয়েন্টির দ্বিতীয় সেমিফাইনালে প্রাইম ব্যাংককে ৬ উইকেটে হারিয়েছে প্রাইম দোলেশ্বর। দোলশ্বরকে জয়ের দোলায় যিনি দুলিয়েছেন, ফরহাদ রেজা।

প্রথমে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন ফরহাদ। পরে ব্যাট হাতে অসাধারণ ফিনিশিং, ৮ বলে করেছেন অপরাজিত ২৪ রান। বোলিংয়ে ১৯তম ওভারের শেষ তিন বৈধ ডেলেভারিতে তিন উইকেট পেলেও বলার উপায় নেই তিনি হ্যাটট্রিক করেছেন! এর মাঝে যে একটি ওয়াইড বল করেছেন। হ্যাটট্রিক না হওয়ার আফসোস নেই ফরহাদের। আফসোস যদি থেকে থাকে, সেটি দেলোয়ার হোসেনকে দেখিয়ে দিতে না পারায়।

গত জাতীয় লিগে হ্যাটট্রিক করেছিলেন রাজশাহীর পেসার দেলোয়ার। সতীর্থ পেসার প্রায়ই নাকি ফরহাদের সঙ্গে রসিকতা করে বলেন, পারলে হ্যাটট্রিক করে দেখান তো! আজ সেই সুযোগটা পেয়েও হলো না। ম্যাচশেষে মুখে হাসি ফুটিয়ে ফরহাদ বললেন, ‘এটা নিয়ে কোনো আফসোস নেই। তবে হলে খুব ভালো হতো। আমাদের রাজশাহী দলের পেসার দেলোয়ার গত জাতীয় লিগে হ্যাটট্রিক করেছিল। সে আমার খুব ভালো বন্ধুও। ও আমাকে প্রায়ই বলে, আমার মতো কি আর হ্যাটট্রিক করতে পারবেন! সে খুবই ভালো বোলার। তবে আজ যতটুকু হয়েছে খুবই খুশি।’

ফরহাদ খুশি তো হবেনই। আজ টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং করেছেন। ৪ ওভারে ৩২ রানে পেয়েছেন ৫ উইকেট। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ৫ উইকেট পেলেন এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার। তাঁর অসাধারণ অলরাউন্ড পারফরম্যান্স দল উঠেছে ফাইনালে।

গত বিপিএল থেকেই ধারাবাহিক ভালো বোলিং করছেন ফরহাদ। ধারাবাহিক ভালো খেলার রহস্য বলতে গিয়ে তিনি কৃতজ্ঞতা জানালেন রংপুর রাইডার্স ও জাতীয় দলের কম্পিউটার বিশ্লেষক শ্রীনিবাসকে, ‘আমাদের কম্পিউটার বিশ্লেষক অনেক সহায়তা করেছে। ওর পরামর্শের ভিত্তিতে কিছু কাজ করেছি। সুজন ভাই (খালেদ মাহমুদ), বাবুল স্যারের (দোলেশ্বর কোচ মিজানুর রহমান) সঙ্গে কাজ করেছি। এ কদিনে সবচেয়ে বেশি উন্নতি হয়েছে মাথায়। মানসিকভাবে অনেক এগিয়েছি।’