ভারতের বিমান হাইজ্যাক করে পাকিস্তানে নেওয়ার হুমকি

SHARE

বিমান হাইজ্যাক করে পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হবে। ভারতের মুম্বাইয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার কন্ট্রোল রুমে শনিবার এমনই হুমকি ফোন আসার পরেই দেশটির বিমানবন্দরগুলিতে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এর পরেই সব বিমানসংস্থা এবং সিআইএসএফ-কে আরও সতর্ক হওয়ার পাশাপাশি নতুন নিরাপত্তা বিধি মেনে চলার নির্দেশ জারি করেছে ভারতের বুরো অব সিভিল অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি (বিসিএএস)।

ভারতের ব্যুরো অব সিভিল অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি (বিসিএএস) সূত্রে খবর, এদিন মুম্বাইয়ের এয়ারপোর্ট অপারেশন কন্ট্রোল সেন্টারে একটি হুমকি ফোন আসে। বলা হয়, ২৩ ফেব্রুয়ারি এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানকে হাইজ্যাক করে সেটা পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হবে। ফোনটি আসার পরই দ্রুত মুম্বাই বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। সতর্কতা জারি করা হয় অন্য বিমানবন্দরগুলোতেও।

বিসিএএস সূত্রে আরও জানানো হয়েছে, প্রত্যেক বিমানের ওঠানামায় কড়া নজর রাখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে বিমানবন্দরের টার্মিনালগুলো, কার পার্কিংয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে সিআইএসএফ। তবে এটা কোনও ভুয়ো কল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সন্ত্রাসী হামলার পর এই মুহূর্তে একটা উত্তেজনার আবহ রয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। হুমকি ও পাল্টা হুমকির পর্ব চলছে দুদেশের মধ্যে। এমন একটা পরিস্থিতিতে নিরাপত্তায় কোনও রকম খামতি রাখতে চাইছে না ভারতের বিমান মন্ত্রণালয়। তাই হুমকি ফোন আসার পর থেকেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে দেশটির বিমানবন্দরগুলোতে। এয়ারপোর্ট সিকিয়োরিটি ইউনিট, অ্যাভিয়েশন সিকিয়োরিটি গ্রুপ এবং সব বিমান সংস্থাকে অবিলম্বে আটটি নতুন নিয়ম মানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

১৯৯৯ সালে কাঠমাণ্ডু থেকে দিল্লিগামী ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের আইসি ৮১৪ বিমানটিকে অপহরণ করে আফগানিস্তানে নিয়ে যায় জঙ্গিরা। ভারতের জেলে বন্দি জঙ্গি নেতা মাসুদ আজহার-সহ তিন জঙ্গির মুক্তির বিনিময়ে বিমানের ১৯০ জন যাত্রী ছাড়া পান।

২০১৪ সালে সংসদে পাশ হয় সংশোধিত বিমান ছিনতাই বিরোধী বিল। ওই বিল অনুযায়ী বিমান ছিনতাইয়ের ফলে কোনও পণবন্দি বা নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যু হলে অপরাধীর মৃত্যুদণ্ড কিংবা যাবজ্জীবন হতে পারে। বাজেয়াপ্ত করা হবে তার সম্পত্তি।