রেস্টুরেন্টে ‘পাকিস্তান মুর্দাবাদ’ স্লোগান দিলেই ১০% ডিসকাউন্ট!

SHARE

দোকানের বিক্রি তথা বিক্রি থেকে আয় বাড়াতে ডিসকাউন্ট আপনি দিতেই পারেন। দুনিয়াজুড়ে সবখানেই প্রায় সব ধরনের ব্যবসাতেই শর্তসাপেক্ষে ডিসকাউন্ট বা ছাড় দেয়ার রীতি আছে। মুম্বাইয়ের একটি রেস্টুরেন্টও সম্প্রতি ১০% ছাড় ঘোষণা করেছে।

তবে তারা এর সঙ্গে যে শর্ত জুড়ে দিয়েছে তাতে একদিকে আছে দেশপ্রেম আর অপরদিকে রয়েজে শত্রু দেশের প্রতি ঘৃণা।

ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাই শহরের লাকি তাওয়া নামের রেস্টুরেন্ট গ্রাহকদের শতকরা ১০ ভাগ ছাড় দেবে, তবে তার জন্য রেস্টুরেন্টে থাকাকালীন ‘পাকিস্তান মুর্দাবাদ’ অর্থাৎ ‘পাকিস্তান ধ্বংস হোক’ এমন স্লোগান দিতে হবে।

শনিবার হিন্দি পত্রিকা জনসত্তা.কম জানায় মুম্বাই শহরের সেক্টর ৭-এর খারঘর এলাকায় অবস্থিত রেস্টুরেন্টটির মালিক সৈয়দ খান নামের এক মুসলিম।

প্রসঙ্গত, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় ভারতীয় কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) চল্লিশের অধিক সদস্য নিহত হয়। হামলার দায় শিকার করেছে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জয়েশ-এ-মোহাম্মদ। হামলার ঘটনার পরে পাকিস্তান বিদ্বেষের সঙ্গে সঙ্গে ভারতজুড়ে কাশ্মিরিরাও জনরোষের মুখে পড়ে, শিকার হয় মারধর ও সামাজিক বয়কটেরও।

এ ঘটনায় ভারতীয় কর্তৃপক্ষ পাকিস্তানকে দায়ি করছে। আর সমগ্র ভারতজুড়ে পাকিস্তান বিরোধী ক্ষোভ-ঘৃণা ফুঁসে উঠেছে। তারই ধারাবাহিকতায় লাকি তাওয়া রেস্টুরেন্টের মালিক সৈয়দ খান এমন অভিনব ডিসকাউন্ট প্রস্তাবের মাধ্যমে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তার ঘৃণার বহিঃপ্রকাশ ঘটনা। তার রেস্টেুরেন্টের ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।

ভিডিওতে দেখা যায় রেস্টুরেন্টের মালিক সৈয়দ নিজেই কাস্টমারকে এমন প্রস্তাব দিচ্ছেন। অর্ডারকারী কাস্টমার খুশি হয়ে সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তান মুর্দাবাদ বলে স্লোগান দিচ্ছেন আর তার স্লোগান শেষ হতে না হতেই রেস্টুরেন্ট স্টাফরাও সমস্বরে কপি করছে সেই স্লোগান।

অপর এক সূত্র জানায়, মুম্বাইয়ের লাকি তাওয়ার আগে ছত্তিশগরের জগদলপুরে ‘ঝটকা চিকেন তন্দুর’ নামের রেস্টুরেন্টেও ডিসকাউন্ট অফার দেওয়া হয় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ঘৃণাত্মক স্লোগানের বিনিময়ে। হোটেলের মালিক অঞ্জল সিং ঘোষণা দেন, যে কাস্টমারই রেস্টুরেন্টে ‘পাকিস্তান মুর্দাবাদ’ আওয়াজ তুলবে তাকেই প্রতি মুরগির রানে ১০ রুপি ছাড় দেওয়া হবে।

তবে এতসব ঘটনার বিপরীতে পাকিস্তান ভারতের অভিযোগ অস্বীকার করে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে। তবে উত্তেজনা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে দুই দেশের সেনাবাহিনী-ই যুদ্ধংদেহী অবস্থায় রয়েছে।