আগুন আতঙ্কে হল ছাড়ছে শেকৃবি শিক্ষার্থীরা

SHARE

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) কৃষকরত্ন শেখ হাসিনা হলে গ্যাস পাইপের ছিদ্র থেকে হলে গ্যাস ছড়িয়ে পড়লে হল থেকে বেরিয়ে আসেন আতঙ্কিত শিক্ষার্থীরা। এ সময় হলে অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার দাবি করলে শেকৃবি উপাচার্য দুর্ঘটনার জন্য শিক্ষার্থীদের দায়ী করেন।

এ ঘটনায় উপাচার্য শিক্ষার্থীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন ও এক শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন নম্বর নিয়ে তাকে এক্সপেলড করার হুমকি দেন অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সম্পর্কিত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে শিক্ষার্থীদের মাঝে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় জানা যায়, আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা হলে ছাড়ছেন। উপাচার্যের দাবি, গ্যাসের সংযোগ ছিদ্র করা ষড়যন্ত্রের অংশ।

ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা যায় শেকৃবি উপাচার্য ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ কৃষকরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রবেশদ্বারে দাঁড়িয়ে শিক্ষার্থীদের হলে প্রবেশের নির্দেশ দিচ্ছেন। তিনি গ্যাস ছড়িয়ে পড়ার ঘটনাকে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেন। কারা ষড়যন্ত্র করেছে জানতে চাইলে উপাচার্য ক্ষেপে গিয়ে শেকৃবি মাস্টার্সের এক শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন নম্বর লিখে নেন এবং তাকে এক্সপেল করার হুমকি দেন। এ সময় উপস্থিত শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদ করেন।

এরপর উপাচার্য বলেন, ‘কেউ ইচ্ছে করলে থাকতে পারো নাহলে চলে যেতে পারো। আমরা কাউকে জোর করে হলে তুলি নাই।’ তিনি বলেন, ‘সরকার কত টাকা দেয়? এর চেয়ে বেশি সমাধান করার স্কোপ নাই। তুমি যদি পারো নিজে টাকা আইনা নিজে সমাধান করে দাও।’

ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন মাধ্যমে এর প্রতিবাদ করেন।

এদিকে আজ শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় জানা যায়, আগুন দুর্ঘটনার আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা হল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী কালের কণ্ঠকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হলে অগ্নিদুর্ঘটনা রোধের কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে শিক্ষার্থীদের দোষারোপ করছেন, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন। আমাদের জীবনের নিরাপত্তা এখানে হুমকির মুখে। তাই আমরা হল ছেড়ে চলে যাচ্ছি। বেশিরভাগ শিক্ষার্থী চলে গেছেন।

এ বিষয়ে কৃষকরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট আয়েশা আক্তার আঁখির সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাঁকে পাওয়া যায়নি।

শেকৃবি উপাচার্য কামাল উদ্দিন আহাম্মদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ছাত্রীরা যড়যন্ত্রমূলকভাবে গ্যাসের লাইন লিক করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তারপরও আমরা গ্যাসের সংযোগ বন্ধ করে যখন নিরাপদ মনে করেছি তখন শিক্ষার্থীদের হলে প্রবেশের নির্দেশ দিয়েছি। কিছু শিক্ষার্থী এটা অমান্য করে আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। তখন বলেছি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের এক্সপেল করা হবে।’