শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপচার্য দিলীপকুমার সিনহা, প্রাক্তন রেজিস্ট্রার দিলীপকুমার মুখোপাধ্যায় এবং অংক বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষিকা মুক্তি দেবীকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করলেন বোলপুরের অতিরিক্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
দিলীপ সিনহা বিরুদ্ধে অভিযোগ, যোগ্যতা না-থাকা সত্ত্বেও তিনি মুক্তি দেবীকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যায়লয়ে পড়ানোর সুযোগ করে দেন।
ঘটনাটি রীতিমতো আলোড়ন তৈরি করেছে কারণ পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসে এই প্রথম উপচার্য এবং রেজিস্ট্রার স্তরের কাউকে প্রতারণার দায়ে দণ্ডিত করা হলো।
আদালতের রায় শোনার পর কান্নায় ভেঙে পড়েন উপাচার্য এবং নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।
কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতকে জানানো হয়, মুক্তি দেবীর ভুয়া শংসাপত্রকে উপচার্য স্বয়ং এবং রেজিস্ট্রার সঠিক বলে রায় দেন এবং তার চাকরি পাকা করেন।
‘কিন্তু মুক্তি দেবী যখন অধ্যাপনা করতে বিশ্বভারতীতে পিএইচডি করার দরখাস্ত করেন এবং আসল শংসাপত্র দাখিল করতে পারলেন না, তখনই প্রতারণার বিষয়টি সবার নজরে আসে। ২০০৪ সালে ঘটনা পুলিশকে জানানো হয় এবং তদন্তে উঠে আসে যে ওরা তিনজন মিলে এই প্রতারণা করেছিলেন’ জানান এক পুলিশ কর্মকর্তা।
বিশ্বভারতী একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারের অনুদানে সেখানে স্থাপিত হয়েছে বাংলাদেশ ভবন।