বিশ্বে সবুজ শিল্পায়নের এক রোল মডেল বাংলাদেশের পোশাকখাত

SHARE

রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তান নিয়ে আলোচনাকালে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ও ব্যবসায়ী নেতা আব্দুস সালাম মূর্শেদী বলেছেন, বিশ্বে সবুজ শিল্পায়নের এক রোল মডেল বাংলাদেশের পোশাকখাত। বর্তমানে ৮২টি গ্রিন কারখানার মধ্যে ২২টি প্লাটিনাম ক্যাটাগরির।

সোমবার রাতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এই আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি আরো বলেন, ২০১৩ সালে যুক্ত রাষ্ট্র আমাদের দেশের জন্য জিএসপি সুবিধা স্থগিত করে। তখন পোশাক রপ্তানি নিয়ে গভীর শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু তখনকার বাণিজ্যমন্ত্রীর দক্ষতা ও দূরদর্শী সিদ্ধান্তের কারণে রপ্তানি আয় ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে। তিনি আরো বলেন, একই বছর রানা প্লাজা ধসে পড়ার পর সারা বিশ্বে বাংলাদেশের পোশাক খাত নিয়ে হৈ চৈ পড়ে যায়। বিদেশী পত্রিকাগুলোতে লাল করে বড় বড় হেডিং দিয়ে বিভিন্ন নিউজ ছাপা হচ্ছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সব সঙ্কট মোকাবেলা করে সারা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।

এমপি সালাম মূর্শেদী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের সফলতায় দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে অবস্থান করছে। রাস্তাঘাট, ব্রীজ-কালভার্ডসহ শতাধিক উন্নয়ন প্রকল্প ইতিমধ্যে বাস্তবায়ন হয়েছে। পদ্মা বহুমুখী সেতু, পদ্মা রেলসেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, চট্টগ্রাম-দোহাজারী থেকে রামু-কক্সবাজার এবং রামু-গুনদুম রেলপথসহ ১৫টি মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নের পথে। এ কারণেই দেশের প্রতিটি গ্রামকে শহরে রূপান্তরের স্বপ্ন দেখছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।

সাবেক ফুটবলার সালাম মূর্শেদী বলেন, শিল্পের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খুলনা জেলার রূপসা, তেরখাদা ও দিঘলিয়া উপজেলাই নদী, নালা, খাল, বিল বেষ্টিত হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা এখনো সহজ হয়নি। তবে ফুলতলা-রেলিগেট-দিঘলিয়া (নগরঘাট)-আড়–য়া-গাজীরহাট-তেরখাদা সড়কে ভৈরব ও আত্রাই নদীর ওপর দু’টি সেতু নির্মানের প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। এই সেতু দু’টির নামকরণ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সেতু-১ ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সেতু-২ করার দাবি জানাচ্ছি। তিনি সেতু দু’টির কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট সকলে হস্তক্ষেপ কামলা করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তেরখাদার ভূতিয়ার বিল, সিলিমপুর, বিল বাশুয়াখালি নামক এলাকায় একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল করার নির্দেশনা দিয়েছেন। এটি চালু হলে এই অঞ্চলে ব্যাপক কর্মসংস্থান হবে। অর্থনৈতিক দিক থেকে খুলনার গুরুত্বও অনেক বেড়ে যাবে। তাই অর্থনৈতিক অঞ্চলটির দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি।

দ্বিতীয়বার নির্বাচিত এই সংসদ সদস্য বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি নজর ও উদ্যোগের কারণে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর সুমদ্র বন্দর মংলা আবার তার পূর্বের রূপ ফিরে পাচ্ছে। এই মংলা বিএনপি-জামাত সরকার অচল করে দিয়েছিল। অথচ দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে বন্দরটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পদ্মা সেতু চালু হলে মংলা হবে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের মূল প্রাণকেন্দ্র। এই অবস্থায় সামগ্রিক উন্নয়নে একটি সমন্বিত প্রকল্প ও উদ্যোগ হাতে নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।