এর আগে দু’টি সভা বাতিল হয়ে গেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগি আদিত্যনাথের। তিনি অভিযোগ করেছেন, রাজ্য সরকার তার হেলিকপ্টার নামার অনুমতি দেয়নি।
পরে ফোনের মাধ্যমে সেই সভা গত ২ ফেব্রুয়ারি করেন যোগি। ওই দিন উত্তরবঙ্গের বালুরঘাট ও রায়গঞ্জে সভা করার কথা ছিল যোগি আদিত্যনাথের।
২ ফেব্রুয়ারির পর আবার ৫ ফেব্রুয়ারি। মঙ্গলবার পুরুলিয়ায় সভা ছিল তার। সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। কিন্তু শেষাবধি সভার অনুমতি পান যোগি।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই যোগির সভাকে ঘিরে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করে। জল্পনা চলছিল, যোগি কি আদৌ সভা করতে পারবেন, নাকি উত্তরবঙ্গের মতো এবারও তাকে খালি হাতেই ফিরে যেতে হবে?
সভাকে কেন্দ্র করে চরম অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল সকাল থেকেই। দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে ছাড়পত্র মেলে। যদিও স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, সভা করার জন্য প্রয়োজনীয় নথি অসম্পূর্ণ ছিল। তবে বিজেপি সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
উত্তরবঙ্গের ঘটনার কথা মাথায় রেখে এবার আর হেলিকপ্টারে নয়, সড়কপথেই ঝাড়খণ্ড হয়ে পুরুলিয়া যান যোগি। মঙ্গলবার তিনি বোকারোতে নামেন হেলিকপ্টারে। সেখান থেকে সভায় যান তিনি।
সকালেই যোগি টুইট করে বলেন, এটা খুব দুঃখের বিষয় যে গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কর্মভূমি, আমাদের বাংলা, মমতা ব্যানার্জির সরকারের অরাজকতার শিকার। এই সরকারের হাত থেকে বাংলাকে মুক্ত করতে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন করতে হবে। আর সেই আন্দোলনের সূচনা করতেই পুরুলিয়া যাচ্ছেন বলে দাবি করেন তিনি।