‘প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টার প্রমাণ আমরা এখনো পাইনি’

SHARE

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ইকোনমিকস টাইমস-এ প্রকাশিত এক খবরে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টায় আসা পাকিস্তান গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের একটি জাহাজ সাগরে নিমজ্জিত হওয়ার খবরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলছেন, ‘আমরা খবরটি শুনেছি। তবে এর কোন বাস্তবভিত্তিক প্রমাণ এখনো আমরা পাইনি।’

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নগর ভবনে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় পরিচালনা পরিষদের এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা তো নতুন কিছু নয়। এ পর্যন্ত বিশটি এটেম্পট হয়েছে। এটা যদি হয়ে থাকে অবিশ্বাস করার মতো কিছু নেই। পুরোপুরি এ বিষয়ে জানার আগে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ সরকার তাদের সহযোগীদের সহায়তায় ওই হত্যা পরিকল্পনা বানচাল করে দেয়। পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এর ওই পরিকল্পনাটি বানচাল করে দিয়ে শেখ হাসিনা টানা তিনবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।’

ইকোনমিকস টাইমস এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘আইএসআইয়ের কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল নাভিদ মোক্তার ওই হত্যা পরিকল্পনার প্রধানের ভূমিকা পালন করেন। জেনারেল নাভিদ ছাড়াও আইএসআইয়ের বেশকিছু এজেন্ট ঐ হত্যা পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তবে বাংলাদেশে পাকিস্তান সমর্থিত মৌলবাদী দল জামায়াতে ইসলামী এ হত্যা পরিকল্পনায় ছিল কিনা তা নিশ্চিত করা যায়নি।’

ওই সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘গ্রিসের পতাকাবাহী একটি জাহাজে করে একে-৪৭, কারবিন বন্দুক ও গ্রেনেড নিয়ে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের বন্দরে প্রবেশের পরিকল্পনা করা হয়। তবে ঐ জাহাজটি মাঝপথে ডুবে যায়। ২০০৪ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন দল ক্ষমতায় থাকাকালে যেভাবে ১০ ট্রাক অবৈধ অস্ত্র দেশে নিয়ে আসা হয়, একইভাবে এসব অস্ত্র আনার চেষ্টা করা হয়েছিলো।’

প্রতিবেদনটিতে অন্য আরেকটি সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করার মাধ্যমে অরাজক পরিস্থিতি তৈরির পরিকল্পনা করে ষড়যন্ত্রকারীরা। জাহাজ থেকে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে রাজধানী ঢাকায় বোমা বিস্ফোরণেরও পরিকল্পনাও করেছিলো তারা।’