রাজধানী ঢাকায় আবারও চলন্ত বাসে গণধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আসমানী পরিবহনের একটি চলন্ত বাসে এক তরুণীকে শ্লীলতাহানি ও গণধর্ষণের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। সম্মান বাঁচাতে সেই তরুণী জানালা দিয়ে লাফিয়ে পড়ে আহত হয়েছেন।আহত ওই তরুণীকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজে ভর্তি করে এবং তার আত্মীয়স্বজনকে খবর দেয়। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাসটির চালক রাসেল ভুইয়াকে (২০) গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
গত ২৮ ডিসেম্বরের এই ঘটনার পর চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা দায়ের করেছেন ওই তরুণীর চাচা। মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, গত ২৮ ডিসেম্বর সেই তরুণী (২৫) কুড়িল বিশ্বরোড তরুণীর খালার বাসা থেকে সন্ধ্যা ৬টার দিকে আব্দুল্লাহপুরের উদ্দেশে আসমানী পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৮৩২৮) একটি বাসে উঠেন। গাড়ির মধ্যে তন্দ্রচ্ছন্ন হয়ে পড়ায় তিনি বুঝতে পারেননি বাসটি কোথায় যাচ্ছে। সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে কারো হাতের স্পর্শে তার চেতনা ফিরে পেলে দেখতে পান বাসের মধ্যে ওই তরুণী ছাড়া আর কোনো যাত্রী নেই।
এ সময় ওই গাড়ির চালক, হেলপার, কন্ট্রাক্টরসহ অজ্ঞাত আরও ২-৩ জন তরুণীকে ঘিরে ধরে এবং তার কাছে থাকা একটি মোবাইল ফোন ও গলায় থাকা একটি স্বর্ণের চেইন নিয়ে নেয়। একপর্যায়ে ওই তরুণীর শরীরে ঝাঁপিয়ে পড়ে ওড়না টেনে ছিঁড়ে ফেলে দেয় এবং শ্লীলতাহানি শুরু করে। এক পর্যায়ে ধর্ষণের চেষ্টা করলে ওই তরুণী তার মোবাইল ফোন ও স্বর্ণের চেইন রেখে তাকে ছেড়ে দিতে অনুরোধ করেন। কিন্তু কেউ শোনেনি তার কথা।
এক পর্যায়ে ধর্ষণ থেকে বাঁচতে বাসের জানালা দিয়ে লাফ দিয়ে পড়ে যান ওই তরুণী। উত্তরা পশ্চিম থানাধীন ঢাকা আশুলিয়া মহাসড়কের স্লইচগেট পাইকারি কাচাঁবাজার সংলগ্ন পাকা রাস্তায় পড়ে গিয়ে মাথায় জখম এবং হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় থেঁতলে যায়। এ সময় কাঁচাবাজারে থাকা লোকজন তরুণীকে উদ্ধার করে স্থানীয় উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজে ভর্তি করে এবং তার আত্মীয়স্বজনকে খবর দেয়। এ ঘটনায় দায়ে করা মামলায় বাসচালক রাসেল ভুইয়া (২০) ও হেলপার মো. মিরাজসহ (২৫) অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনকে আসামি করা হয়। পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।