প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা বলেছেন, আমরা আশা করেছিলাম যে, একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে, আমাদের সে আশা পূর্ণ হয়েছে। আশা ছিল প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন হবে, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে। সেই পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৯ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সরকারি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে একথা বলেন তিনি।
প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্য করে সিইসি বলেন, এখন বিশ্বাস করার সুযোগ ও সময় এসেছে যে, এই দেশে যারা রাজনীতি করেন, যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন, তারা নির্বাচনের আইন, আচরণবিধি মেনে এবং আপনারা মাঠ পর্যায়ে যারা কাজ করবেন তাদেরকে সাহায্য-সহযোগিতা করার মাধ্যমে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন।
তিনি বলেন, অনেক প্রভাবশালী প্রার্থী তারা রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিসে গিয়ে সুশৃঙ্খলভাবে আবেদন জমা দিয়েছেন। প্রার্থীর সঙ্গে পাঁচজনের বেশি লোক ভেতরে গেলে আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়, কেউ সেটি লঙ্ঘন করেনি। বাইরে হয়তো তাদের কিছু সমর্থক এসেছিল। একজন প্রার্থীর সমর্থক থাকতেই পারে। সেগুলো মোটর শোভাযাত্র, গাড়িসহ যাত্রা বা শোডাউনের পর্যায়ে পড়ে না।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, একজন প্রার্থী যখন নির্বাচনের মাঠে নামবেন তখন তাকে কেবল একজন প্রার্থী হিসেবে দেখতে হবে। প্রার্থীরা যখন থেকে নির্বাচনের মাঠে যাবেন তখন থেকে তার পরিচয় প্রার্থী। তখন আর দল বা একক ব্যক্তির কোনও পরিচয় নেই। তিনি শুধু একটি মার্কা বা প্রতীকের প্রার্থী। ফলে তিনি যেই হন বা যে দলেরই হন না কেন তাকে অন্য সবার সঙ্গ সমানভাবে দেখতে হবে।