প্রধানমন্ত্রীর কাছে ১০ মিনিট সময় চান ড. কামাল হোসেন

SHARE

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ‘আমি আপনার সঙ্গে দেখা করবো। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) অনেক ব্যস্ত, রাষ্ট্রের অভিভাবক হিসেবে উনার অনেক কাজের চাপ থাকে। তারপরও যদি ১০ মিনিট সময় দেন, তবে তার সঙ্গে দেখা করে কিছু কথা বলবো।

আজ শুক্রবার (১৭ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া আয়োজিত সংহতি সভায় তিনি একথা বলেন।

ড. কামাল হোসেন বলেন, কোটা সংস্কার এবং নিরাপদ সড়কের আন্দোলন নিয়ে আমাদের কিছু কথা লিখিত আকারে আপনার কাছে পাঠিয়ে দেব। আমি আশা করি আমাদের কথাগুলো আমলে নেবেন।

তিনি বলেন, কোটা সংস্কার এবং সড়ক নিরাপত্তা চাওয়া তো অন্যায় নয়। প্রধানমন্ত্রী, আপনার কাছে বিনীত আবেদন যে আপনি উদারতার পরিচয় দিন। গ্রেফতার হওয়া শিক্ষার্থীদের ছেড়ে দিন। সামনে ঈদ, ঈদ উপলক্ষে আপনি সবাইকে মুক্তি দিন।

গণফোরাম সভাপতি বলেন, আমি একশত ভাগ নিশ্চিত বঙ্গবন্ধুর কাছে আইনমন্ত্রী হিসাবে আমি এ ধরনের প্রস্তাব নিয়ে গেলে তিনি অবশ্যই কোনো রাগ ঢাক না করে ক্ষমা করে দিতেন। মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি হবে-এটাইতো চেয়েছিল বঙ্গবন্ধু। তবে বঙ্গবন্ধুর কন্যার কাছে এর চেয়ে কম আশা কিভাবে করি? কাজেই আশা করি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা নির্যাতন অবিলম্বে বন্ধ করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর একজন শুভাকাঙ্ক্ষী হিসাবে এ দাবি করছি।

প্রবীণ এ আইনজীবী বলেন, নিরাপদ সড়ক ও কোটা সংস্কারের বিষয়টি নিয়ে একটি সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করতেও প্রস্তুত। আপনার (প্রধানমন্ত্রী) সমালোচনা করতে আমরা সমবেত হয়নি, আমরা গ্রেফতারকৃত শিক্ষার্থীদের মুক্তি চাই। বন্ধ হোক গ্রেফতার নিপীড়ন নির্যাতন।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে ড. কামাল বলেন, সংবিধান নিয়েও আপনার সঙ্গে কথা বলতে চাই। আমরা চাই আপনি সংবিধান মেনে দেশ চালান। সংবিধানকে মেনে চলেই ভালো কাজ করা সম্ভব। সংবিধানকে অমান্য করে কোনো ভালো কাজ সম্ভব নয়।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ফজলুর রহমান, ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ এবং গণফোরাম নেতাদের মধ্যে অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, আ.ও.ম শফিকউল্লাহ, জগলুল হায়দার আফ্রিক, মোশতাক আহমেদ, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায় সদস্য সচিব আ.ব.ম মোস্তাফা আমীন প্রমুখ।