শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উসকানির দায়ে ৫১ মামলা, গ্রেফতার ৯৭

SHARE

নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে সহিংসতা এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় উসকানি দেওয়ার ঘটনায় রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ৫১টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় এখন পর্যন্ত মোট ৯৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, ওই ৯৭ জনের মধ্যে দণ্ডবিধি ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা মোট ৪৩ মামলায় ৮১ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

ডিএমপি জানায়, আন্দোলনে সহিংস ঘটনা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘উসকানির’ পরিপ্রেক্ষিতে রমনা বিভাগে মোট ১৪টি মামলা করা হয় এবং মোট ৩১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা হয় ১০টি। যেখানে গ্রেফতার করা হয় ২০ জনকে। আর ৮৪ জনকে আসামি করে করা চারটি মামলায় গ্রেফতার করা হয় ১১ জনকে। ১৪টি মামলার মধ্যে ১৩টির তদন্ত করছে সংশ্লিষ্ট থানাপুলিশ এবং একটি মামলা তদন্ত করছে ডিবি পুলিশ।

লালবাগ বিভাগে একজনসহ অজ্ঞাতনামা ৫০-৬০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়। মামলায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ওয়ারী বিভাগে মামলা হয়েছে দুটি। অজ্ঞাতনামা ৩৫০-৪৫০ জনকে আসামি করে করা দুই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে একজনকে।

এ বিষয়ে মতিঝিল বিভাগে অজ্ঞাতনামা আসামি করে ৬টি মামলা করা হয়েছে। ৬টি মামলায় ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তেজগাঁও বিভাগে ৬ জনকে আসামি করে দুটি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে ২ জন এজাহারনামীয়সহ সন্দিগ্ধ আরও ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মিরপুর বিভাগের মিরপুর মডেল থানায় বিইউবিটি ইউনিভার্সিটি ও কমার্স কলেজসহ অন্যান্য কলেজের অজ্ঞাতনামা ৫০০-৬০০ ছাত্র-শিক্ষককে আসামি করে একটি মামলা, অজ্ঞাতনামা ৫০-৬০ জনকে আসামি করে কাফরুল থানায় একটি মামলা এবং ৯৬ জনকে আসামি করে আরও ৩টিসহ মোট ৫টি মামলা করা হয়েছে।

গুলশান বিভাগে অজ্ঞাতনামা ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৪৫০ জনকে আসামি করে সাটি মামলা এবং ৩১ জনকে আসামি করে আরও দুটি মামলাসহ মোট ৯টি মামলা করা হয়েছে। ৯টি মামলায় মোট ২৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উত্তরা বিভাগে অজ্ঞাতনামা ১০০-১৫০ জনকে আসামি করে তিনটি মামলা এবং ১১৩ জনসহ অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে একটি মামলাসহ মোট ৪টি মামলা করা হয়েছে। মামলায় মোট ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এ ছাড়াও তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে ২৯ জনকে আসামি করে করা মোট ৮টি মামলায় ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৮টি মামলার মধ্যে ৪টি মামলা ডিএমপির সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগ, একটি ডিবি পুলিশ এবং একটি থানাপুলিশ তদন্ত করছে।

এসব মামলায় গ্রেফতার শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবি জানিয়ে আসছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন।

গত ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নুর পরিবহনের চাপায় মারা যান শহীদ রমিজ উদ্দীন কলেজের দুই শিক্ষার্থী। এর পর ৯ দফা দাবি নিয়ে ‘নিরাপদ সড়ক’ চাই স্লোগানে আন্দোলনে নামে সারাদেশের শিক্ষার্থীরা। টানা ৯ দিন রাজপথে আন্দোলনে ছিল দেশের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী। পরে প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা বাড়ি ফিরে যায়।