ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের নিরাপত্তায় সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি নেই। তারপরেও অতীত ইতিহাস বিবেচনায় রাজধানীজুড়ে দৃশ্যমান এবং অদৃশ্যমান কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ১৫ আগস্ট ঘিরে সুস্পষ্ট কোনো হুমকি নেই, তারপরেও আমরা কোনো আশঙ্কাই উড়িয়ে দিচ্ছি না। একটি স্বার্থান্বেষী মহল সেই ১৯৭১ সাল থেকেই ষড়যন্ত্রে সক্রিয়। অতীতেও সেই স্বার্থান্বেষী মহলের অপতৎপরতা আমরা কঠোরভাবে দমন করেছি। এবারও আমরা সতর্ক।
তিনি বলেন, এবারো কোনো হুমকি না থাকা স্বত্ত্বেও গত এক সপ্তাহ ধরে রাজধানীজুড়ে ব্যাপক অভিযান, তল্লাশি চলছে। নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কার কোনো কারণ নেই। সারা শহরে দৃশ্যমান এবং অদৃশ্যমান কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ১৫ আগস্টে শ্রদ্ধা নিবেদনে আসার সময় কেউ হ্যান্ডব্যাগ, ভেনিটিব্যাগ, ব্যাকপ্যাক, দাহ্য পদার্থ, ছুরি-কাঁচি বহন করতে পারবেন না। চারপাশ দিয়ে প্রবেশের সময় তল্লাশি করা হবে, আবার অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশের সময় আর্চওয়ের ভেতর দিয়ে যেতে হবে। অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তায় এসএসএফ দায়িত্ব পালন করবেন।
আছাদুজ্জামান বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় কেউ যেন সেলফি তোলায় ব্যস্ত না থাকেন সে জন্য সতর্ক থাকতে হবে। গত এক সপ্তাহ ধরে আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে কাজ করছি। ঢাকা শহর বর্তমানে একটি গুজবের শহরে পরিণত হয়েছে। কেউ কোনো গুজবে কান না দেবেন না।
গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলা সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ওখানে (হলি আর্টিজান) তারা বড় ধরনের অঘটন ঘটিয়ে আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছিল। তাদের তৎপরতা আমরা নষ্ট করে দিয়েছি। ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাদের মামলা তদন্তের শেষ পর্যায়ে। প্রচলিত আইনেই তাদের বিচার হবে।