হেরেই চলেছে পাকিস্তান

SHARE


নিউজিল্যান্ডে পাকিস্তানের কোনো কিছুই ঠিকভাবে হচ্ছে না। আজ হ্যামিল্টনের চতুর্থ ওয়ানডেতে তা-ও যা ব্যাটিংটা ভালো হলো, কিন্তু জয়টা দূরেই রইল তাদের। সফরে এ নিয়ে টানা চার ম্যাচে হারল চ্যাম্পিয়নস ট্রফির চ্যাম্পিয়নরা।
প্রথমে ব্যাটিং করে স্কোরবোর্ডে ২৬২ রান তুলে আগের ম্যাচের কলঙ্ক মোছার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। ৭৪ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর সংগ্রহটা খুব মন্দ নয়। বোলিংটা যথেষ্ট ভালো হওয়ায় এই সংগ্রহেই জয়ের সম্ভাবনা ছিল পাকিস্তানের। কিন্তু হলো না। হতে দেননি কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। তাঁর ৭৪ রানের ইনিংসে ৯৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলা কিউরা বলতে গেলে হেসে-খেলেই পৌঁছে গেছে জয়ের লক্ষ্যে।
গ্র্যান্ডহোমের ইনিংসটি ছিল মাত্র ৪০ বলের। ৭টি চারের পাশাপাশি ৫টি ছক্কা মেরেছেন তিনি। পাকিস্তানি বোলারদের মাঠের চারদিকে আছড়ে ফেলেছেন অবলীলায়। হেনরি নিকোলসও খেলেছেন ৫২ রানের ইনিংস। এই দুইয়ের অবিচ্ছিন্ন ১০৯ রানের জুটি পাকিস্তানকে জিততে দেয়নি।
তবে নিউজিল্যান্ডের শুরুটা কিন্তু ভালোই হয়েছিল। মার্টিন গাপটিল আর কলিন মনরোর ৮৮ রানের জুটি ২৬৩ রান তাড়া করার ভিতটা কিন্তু গড়েই দিয়েছিল। তবে এমন শুরুর পরেও মানরো, গাপটিল, রস টেলর আর টম লাথামের উইকেট চারটি হারিয়ে ঘোর বিপদে পড়ে যায় নিউজিল্যান্ড। তাদের বিপদের কারণ হয়েছিল শাদাব খানের ঘূর্ণি। পাকিস্তানের এই লেগ স্পিনার হঠাৎই ভয়ংকর হয়ে উঠেছিলেন। তুলে নেন ৩টি উইকেট। তবে এই বিপর্যয় কাটিয়ে একটা জুটি দাঁড় করিয়েছিলেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ও নিকোলস। এই দুজনের ৫৫ রানের জুটিতে পথটা খুঁজে পেয়েছিল তারা। কিন্তু উইলিয়ামসন ব্যক্তিগত ৩২ রানে হারিস সোহেলের বলে বাউন্ডারির ওপর রুম্মান রইসের দুর্দান্ত এক ক্যাচ হলে পাকিস্তান জয়ের স্বপ্নটা দেখতে শুরু করেছিল বেশ ভালোভাবেই। কিন্তু গ্র্যান্ডহোম যেন একাই পাকিস্তানের মুখের গ্রাসটা কেড়ে নিলেন, নিকোলসকে সঙ্গ নিয়ে। তবে নিউজিল্যান্ডের ইনিংসে দুটি জুটির অংশ নিকোলস কিন্তু আলাদা করেই প্রশংসা পাবেন।
হ্যামিল্টনের দিন-রাতের এই ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং নিয়েছিলেন পাকিস্তানি অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। কিন্তু শুরু হয়েছিল জঘন্য। দলীয় ৭ রানে ফাহিম আশরাফ ও ১১ রানে বাবর আজমকে হারিয়ে আগের ম্যাচেরই পুনরাবৃত্তির শঙ্কায় পড়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু হারিস সোহেল ও ফখর জামানের ৮৬ রানের জুটিতে সেই বিপদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার প্রাথমিক কাজটা সারে পাকিস্তান। ফখর জামান ৭৫ বলে করেন ৫৪। হারিস সোহেল ৭৪ বলে করেন ৫০। তবে মোহাম্মদ হাফিজ ও সরফরাজ আহমেদের ৯৮ রানের জুটিতে পাকিস্তান চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহের পথটা খুঁজে নেয় অভিজ্ঞ হাফিজ আবারও দলে নিজের কার্যকারিতা প্রমাণ করেছেন ৮০ বলে ৫টি চার ও ৪টি ছয়ের সাহায্যে করেন ৮১। সরফরাজ ৪৬ বলে ৩টি চার ও ৩টি ছয়ে করেন ৫১।
নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদি ৪৪ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। অফ স্পিনে উইলিয়ামসন তুলে নেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট নিয়েছেন ট্রেন্ট বোল্ট ও মিচেল স্যান্টনার।