নিজস্ব প্রতিবেদক:
পর্যাপ্ত ত্রাণ থাকার কথা বলা হলেও প্রশাসনিক জটিলতায় তা পৌঁছাচ্ছে না গাইবান্ধার বন্যা আক্রান্ত বেশিরভাগ এলাকায়। ব্যক্তি উদ্যোগের সাহায্যও প্রয়োজনের তুলনায় কম। মধ্যবিত্ত বানভাসি মানুষ ঘরবাড়ি ফেলে নিরাপদ আশ্রয়েও যেতে পারছেন না। কষ্টটা তাই সীমাহীন এই মধ্যবিত্তেরই।
বিস্তৃত পানির বুক চিড়ে ইঞ্জিন নৌকার এই চলাচল দেখে প্রথমেই কেউ নদী বা হাওর বলে ভুল করতে পারেন। বাস্তবতা হল গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার কাশিয়াবাড়ির এই মাঠের বেশিরভাগই উঁচু জমি। সবজি বা কলাচাষই বেশি হয় এসব জমিতে। পানির মধ্যেই এখনো নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে দু একটি পটল,বেগুন বা কলাখেত।
এই ইউনিয়নের ডুবে যাওয়া কাশিয়াবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা বিধবা মনোয়ারা বেগম। বানের পানিতে ঘর তার পড়পড়। আসবাবও ভেসে গেছে। তবু যেটুকু বাঁচাতে পরেছেন গত আটদিন ধরে তাই আঁকড়ে পড়ে আছেন। কেউ খাবার দিলে খান, না দিলে উপোষ করতে হয় তাকে।
কিশোরগাড়ি ইউনিয়নের এরকম ২০ গ্রামের মানুষই ৮ দিন ধরে পানিবন্দি। মাচায় বা চৌকিতে বসে দিনের বেশিরভাগ সময় পার হয় তাদের। পানি কমছেও না এখানে।
এ অঞ্চলের মসজিদ-মন্দির, মাদ্রাসা বা স্কুল সবই ডুবে গেছে বন্যায়। একমাত্র বাজার, কাশিয়াবাড়ি বাজারও এখনো দুই তিনফুট পানির নিচে।
পলাশবাড়ির হোসেনপুর ইউনিয়নের কিশামত চেরেঙ্গায় করতোয়া নদীর বাধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয়েছে প্রায় ২৫ টি গ্রাম। এখনো পানি ঢুকছে এসব গ্রামে। জেলা প্রশাসনের ত্রাণ বিতরন নিয়ে বিস্তর অভিযোগ এ এলাকার বানভাসি মানুষের। স্থানীয় নেতারা বলছেন, ত্রান আছে, তবে নানা আনুষ্ঠানিকতার কারণে ত্রান বিতরণে বিলম্ব হচ্ছে।