অ্যাশেজে ভরাডুবিই মুখ্য কারণ নয়। ঘটনার সূত্রপাত বেশ আগে থেকেই। ২০১২-র শুরুর দিকে যখন হঠাৎ করে কেপি নিজেকে ওয়ান ডে থেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন, তখন থেকেই ফ্লাওয়ারের বিরাগভাজন হন তিনি। ওই সময়ই দক্ষিণ আফ্রিকানদের কিছু বিতর্কিত এসএমএস পাঠিয়ে টিমের রোষের মুখে পড়েন কেপি।
এই ঘটনার পরপরই ওয়ান ডে থেকে অবসর নেন পিটারসেন। এরপর ভারত সফরের আগ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের টেস্ট দলেও নেওয়া হয়নি তাকে।
ফ্লাওয়ার মনে করেন, ড্রেসিংরুমে পিটারসেনের উপস্থিতি ইংরেজ টিমের ভবিষ্যতের পক্ষে ক্ষতিকারক। শুধু তাই নয়, কেপিকে সরাতে ফ্লাওয়ার নাকি এতটাই বদ্ধপরিকর যে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, টিমে পিটারসেন থাকলে তিনি পদত্যাগ করার জন্যও তৈরি। যদিও ফ্লাওয়ার বলেছেন, ‘নির্দিষ্ট কাউকে নিয়ে কথা বলাটা আমার পক্ষে ভুল হবে। জাতীয় নির্বাচক বা কুকের সঙ্গে এখনও কথা হয়নি আমার। সবাইকে নিয়েই আমরা আলোচনা করব। সবার পারফরম্যান্স খতিয়ে দেখা হবে।”
তবে অনেকের ধারণা ফ্লাওয়ার-কেপি সম্পর্ক মোটেও স্বাভাবিক নয়। এবং এখন ফ্লাওয়ারের ধারণা, পিটারসেন থাকলে ইংল্যান্ডের পুনর্গঠন সম্ভব নয়।
এদিকে কেপির ভবিষ্যতের সঙ্গে কেউ কেউ আবার আইপিএলের যোগাযোগ দেখতে পাচ্ছেন। হাঁটুর চোটের জন্য গত আইপিএলে খেলতে না পারলেও মনে করা হচ্ছে, ফেব্রুয়ারির নিলামে তাঁর জন্য ঝাঁপাবে সব ফ্র্যাঞ্চাইজি। এ বারের চুক্তি যেহেতু তিন বছরের এবং টাকার অঙ্কটা ম্যাচ-ভিত্তিক, তাই এটা নিয়ে ইংল্যান্ড বোর্ডের সঙ্গে ঝামেলার সৃষ্টি হতে পারে পিটারসেনের।
ফ্লাওয়ার কোচ হিসেবে থেকে গেলে তিনি চাইবেন জুন মাসে শ্রীলঙ্কা সফরের আগে তাঁর প্লেয়াররা যত বেশি সম্ভব কাউন্টি ম্যাচ খেলুক। আইপিএলের লোভনীয় চুক্তি ফিরিয়ে কাউন্টি ম্যাচ খেলতে পিটারসেন আগ্রহী হবেন কি না, তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।
পরিস্থিতি সত্যিই সে রকম হলে ফ্লাওয়ারের পদত্যাগ নয়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে পিটারসেনের অবসর নেওয়ার সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি বলে মনে করছেন ক্রিকেট-বোদ্ধারা।