২৪আওয়ার রিপোর্ট : হাইওয়ে পুলিশের এএসপি মিজানুর রহমানের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় রুপনগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে নিহতের ছোট ভাই মাসুম তালুকদার বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১৯।বিষয়টি নিশ্চিত করে রুপনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ শহীদ আলম বলেন, এএসপি মিজানুর রহমান হত্যার ঘটনায় তার ছোট ভাই মাসুম তালুকদার ৩০২ ২০১, ৩৪ পেনাল কোড ধারায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। মামলার আসামি অজ্ঞাত। মামলা দ্রুত তদন্ত শেষে নিষ্পত্তির জন্য থানার ইন্সপেক্টর আখতারুজ্জামান ইলিয়াসকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ওসি জানান, গতকাল বুধবার দুপুরে রাজধানীর মিরপুরের রুপনগর থানাধীন বিরুলিয়া ব্রিজের পাশ থেকে হাইওয়ে পুলিশের এএসপি মিজানুর রহমানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সুরতহাল করার সময় নিহতের গলায় গার্মেন্টের ঝুট কাপড় পেঁচানো ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয় তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।অন্যদিকে হাইওয়ে পুলিশের এএসপি মিজানুর রহমান তালুকদারের শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ড. প্রদীপ বিশ্বাস।ময়নাতদন্ত শেষে তিনি সাংবাদিকদের এতথ্য জানান। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ১০ মিনিটের দিকে এএসপি মিজানুরের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।ড. প্রদীপ বিশ্বাস বলেন, নিহত মিজানুরের শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শরীরের চামড়ার নিচে জমাট রক্ত দেখা গেছে। গলায় দাগ রয়েছে।
আমরা লাশের ভিসেরা সংরক্ষণ করেছি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যাবে।উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার (২১ জুন) রাজধানীর রূপনগর থানাধীন মিরপুর বেড়িবাঁধ এলাকার রাস্তার পাশ থেকে এএসপি মিজানুর রহমান তালুকদারের (৫০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয়রা একটি ঝোঁপে তার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে ডিএমপির রূপনগর ও সাভার থানা পুলিশ সেখানে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে।পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মিজানুর রহমান হাইওয়ে পুলিশ সাভার এলাকার দায়িত্বে ছিলেন। তার বাসা উত্তরার ৫ নম্বর সেক্টরে। সকাল ৬টায় ডিউটিতে বের হন তিনি। এরপর আর যোগাযোগ ছিল না বাসার সঙ্গে।