‘‌মানসিকভাবে আরও দৃঢ় হতে হবে’

SHARE

‘প্রথমে ব্যাটিং করে দুই শ চল্লিশ-টল্লিশ করলে হবে না। তিন শ করতে হবে। ভারতের ব্যাটিং অনেক ভালো’—দুদিন আগে প্রথম আলোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলি। প্রায় ২৭ ওভার শেষে যে দলের রান ২ উইকেটে ১৫৪, তাদের তিন শ কিংবা তিন শর বেশি হওয়াটা কি অসম্ভব ছিল? বাংলাদেশ পারেনি। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালও জেতা হয়নি। ম্যাচ শেষে বড় স্কোর গড়তে না পারার আফসোস মাশরাফি বিন মুর্তজারও।

৩১ রানে ২ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর তৃতীয় উইকেট জুটিতে তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছিলেন বাংলাদেশ একটা বড় স্কোর পেতেই পারত। কিন্তু কেন হলো না, সেটির ব্যাখ্যায় মাশরাফি বলছেন, ‘আমাদের স্কোর ৩০০ এমনকি ৩২০ হতে পারত। থিতু হওয়া ব্যাটসম্যান আউট হয়ে যাওয়ায় আমরা পিছিয়ে গেছি।’
ভারতের বিপক্ষে ২৬৪ রান করে জিততে হলে বোলিংয়ে শুধু ভালো নয়, দুর্দান্ত বোলিং করতে হতো বাংলাদেশকে। সেটিও হয়নি। ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির অধ্যায় বাংলাদেশের শেষ তাই সেমিফাইনালে। তবে এই টুর্নামেন্ট থেকে নিশ্চয়ই অনেক শেখার আছে বাংলাদেশের। সেই শিক্ষাটা কাজে লাগিয়ে সামনে আরও দুর্দান্ত কিছুর আশা মাশরাফির, ‘আমাদের কিছু খেলোয়াড় তরুণ, কিছু অভিজ্ঞ। আবার আমরা ভালোভাবে ফিরে আসব। আমাদের আরও শিখতে হবে। আমাদের দক্ষতা ঠিক আছে। তবে মানসিকভাবে আরও দৃঢ় হতে হবে। বাদ বাকি সবই ঠিক আছে।’
২০১৫ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল, ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সেমিফাইনাল—আইসিসির টুর্নামেন্টে নকআউট পর্বে বাংলাদেশ হার মানছে আসলে অনভিজ্ঞতার কাছে। বড় ম্যাচ খেলার অনভ্যস্ততা এ ধরনের ম্যাচের চাপ বাড়িয়ে দেয়। দারুণ ছুটতে থাকা বাংলাদেশ রানের গতি বাড়িয়ে নেওয়ার অংশটায় এসেই সেই চাপ নিতে পারল না। মাশরাফি ঠিকই বলেছেন, ‘মানসিকভাবে আরও দৃঢ় হতে হবে।