এবার কারিনা বনাম মিরার লড়াই!

SHARE

নিশ্চয় মনে প্রশ্ন আসছে মিরা কে? মিরা রাজপুত হলেন বলিউড সুপারস্টার শহিদ কাপুরের স্ত্রী। নিজের সাবেক প্রেমিকের স্ত্রীর সঙ্গে এখন লড়াইয়ে নেমেছেন কারিনা। এখন দুজনের মধ্যে চলছে ফিটনেসের ঠান্ডা লড়াই। মিরা আর কারিনা দুজনেই সদ্য মা হয়েছেন। আর দুজনই মরিয়া তাঁদের গর্ভাবস্থার পূর্বের সেই ফিগার ফিরে পেতে।

গত বছরের ২৬ আগস্ট মিরার কোলজুড়ে আসে মিশা। আর এদিকে সাইফিনার (সাইফ ও কারিনার) আদরের সন্তান তৈমুর নবাব খানদানে আসেন গত বছরের ২০ ডিসেম্বর। মিশার জন্মের চার মাস পরেই তৈমুরের জন্ম। এখন দুই সেলিব্রেটি মা ব্যস্ত বাড়তি ওজন ঝরিয়ে আগের অবস্থায় ফিরে যেতে। তাই দুজনই এখন রীতিমতো ঘাম ঝরাচ্ছেন। কারিনা আর শহিদ পত্নী মিরা—দুজনই একই জিমে রোজ সকালে কসরত করছেন। এমনকি হামেশাই দুজনকে জিম থেকে একসঙ্গে বের হতেও দেখা যায়। বেবোকে এ ক্ষেত্রে সঙ্গ দিচ্ছেন তাঁর প্রিয় বান্ধবী অমৃতা অরোরা। আর এদিকে মিরার সঙ্গী স্বামী শহিদ। শাহিদও চান তাঁর আদরের পত্নী গর্ভাবস্থার আগের ফিগারে ফিরে যাক শিগগিরই। তাই বলিউড সুপারস্টার এ ক্ষেত্রে মিরাকে পুরোপুরি গাইড করছেন।

কারিনা ইতিমধ্যেই ১৮ কিলো ওজন ঝরিয়ে ফেলেছেন। আর বলিউড সুন্দরী ধীরে ধীরে ফিরে পাচ্ছেন তাঁর সেই আগের ফিগার। তবে বেবো তাঁর গর্ভাবস্থার সময় আরও বেশি যেন সুন্দরী হয়ে উঠেছিলেন। এমনকি সক্রিয় ছিলেন তিনি। বলিউড অভিনেত্রী তখন নিজের মুখে বলেছিলেন, ‘আমি এখন ফিগারের কথা একদম ভাবছি না। তাই ডায়েটেরও ধার ধারছি না। এমনকি নানির পরামর্শমতো ঘিও খাচ্ছি।’ তবে সে সময় করলার প্রেমে মজেছিলেন কারিনা। রোজ নাকি বেবোর ডায়েটে করলা চাই চাই। তৈমুরের জন্মের পরপরই এক বই প্রকাশনার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ‘যব উই মেট’খ্যাত অভিনেত্রী। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ডায়েটেশিয়ান ঋজুতা দিওয়েকর। নবাব খানদানের বেগম বলেন, ‘আমি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাড়তি ওজন ঝরিয়ে আবার জিরো ফিগারে ফিরতে চাই। তাই ডেলিভারির পরপরই তৈমুরকে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালের করিডরে হাঁটতে থাকি।’

তবে তাঁর ডায়েটিশিয়ান ঋজুতা এ ব্যাপারে মৃদু আপত্তি জানান। তিনি বলেন, দ্রুত নয়, ধীরে ধীরে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে ওজন ঝরাতে হবে। কারিনা ঋজুতার পরামর্শমতোই চলছেন। আর তার ঝলক তাঁর ফিগারেই পাওয়া যাচ্ছে। তবে এই দৌড়ে পিছিয়ে নেই শহিদ জায়া মিরাও। স্বামীর সাবেক প্রেমিকাকে এই লড়াইয়ে রীতিমতো টক্কর দিচ্ছেন তিনি। শহিদ নিজে এ ব্যাপারে স্ত্রীর দেখভাল করছেন। এ ছাড়া মিরার জন্য রেখেছেন বিশেষ প্রশিক্ষক। এখন দেখা যাক এই দৌড়ে কার জয় হয়। নবাব খানদানের বেগম কারিনার, না শহিদের আদরের পত্নী মিরার। লড়াইটা এভাবেও দেখা যায়, শহিদের সাবেক প্রেমিকা বনাম পত্নী।