স্পোর্টস ডেস্ক:
মোস্তাফিজের হাত ধরে শুরুতে উইকেট, স্বস্তি। কিন্তু একের পর এক ক্যাচ ড্রপে একসময় বেদাকায় পড়ে গেল বাংলাদেশ।২৮ ওভার ১৫৫ রান তুলে ফেললো নিউজিল্যান্ড। তবে এই অবস্থায় থেকে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশি বোলাররা। শেষ দিকে কিউই ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরেন মাশরাফি, সাকিবরা। আর তাতেই নিউজিল্যান্ডের বিরাট স্কোরের সম্ভাবনা অনেকটা শেষ। আট উইকেটে কিউইদের সংগ্রহ ২৭০।
এদিন টসে জিতে কিউদের ব্যাট করতে পাঠান মাশরাফি। সকালের সীম কন্ডিশন কাজে লাগিয়ে দ্রুত উইকেট তুলে নেওয়াই ছিল অধিনায়কের পরিকল্পনা।
শুরুতে মোস্তাফিজ (রনচি ২) ব্রেক থ্রু এনে দিলেও অনেকগুলো ক্যাচ মিসের মাশুল দিতে হয়েছে টাইগারদের। তিন তিন বার জীবন পান নাথাম।প্রথম ওভারেই বিদায় হয়ে যেতে পারত টম ল্যাথামের। কিন্তু মাশরাফি বিন মুর্তজার বলে ওঠা সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেন নাসির হোসেন। যার মাশুল গুণতে হয় দলকে। ধেই ধেই রান তুলতে থাকে নিউজিল্যান্ড।
১৪তম ওভারের পঞ্চম বলে ফের ক্যাচ তুলে দেন ল্যাথাম। এবারও মিস। অল্পের জন্য ক্যাচটি তালুবন্দি করতে পারেননি মোসাদ্দেক হোসেন। ২৬তম ওভারের শেষ বলেই উইকেট পেতে পারতেন ক্যাচ ড্রপ করা নাসির। কিন্তু লং এক্সট্রা কাভারে ওঠা নাথামের ক্যাচটি ড্রপ করেন সৌম্য। অবশ্য পরের ওভারেই উইকেটের স্বাদ পান ৭ মাস পর দলে ফেরা অলরাউন্ডার নাসির।
দারুণ খেলতে থাকা নেইল ব্রুমকে তিনি ফেরান ৬৩ রানে। ব্রুম-নাথাম জুটি মহা চিন্তার কারণ হয়ে দাড়িয়েছিলেন বাংলাদেশের জন্য। তিন বার জীবন পাওয়া নাথাম এগুচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। কিন্তু নিজের পরের ওভারেই নাথামকে বোল্ড করেন নাসির। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে জোড়া আঘাতে একাদশে ফেরার যথার্থতা প্রমাণ করেন তিনি।
আউট হবার আগে অবশ্য কাজের কাজটি করে যান নাথান। ৮১ বলে খেলেন ৮৪ রানের মূল্যবান ইনিংস। ব্রুম-নাথানের পর চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ান টেলর- অ্যান্ডরসন জুটি। দ্রুত রান তুলছিলেন এ জুটিও। ২৪ রানে অ্যান্ডরসন ও সান্টনারকে শূন্যতে ফিরিয়ে রান তোলার গতি কিছুটা হলেও মন্থর করেন সাকিব।
এরপর মাশরাফি ঝলক। অসাধারণ বোলিং করে পরপর দুই উইকেট নিয়ে স্বস্তি এনে এ বাংলাদেশ অধিনায়ক। প্রথমে তিনি ফেরান নিশামকে,৬ রানে। মাশরাফির পরের শিকার কলিন মোনরো। মাশরাফি তোপে মাত্র ১ রান করতে পেরেছেন মোনরো। শেষ পর্যন্ত ২৭০ রানে থামে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস।
বাংলাদেশের পক্ষে মাশরাফি, সাকিব, নাসির দুটি করে উইকেট নেন। মোস্তাফিজ ও রুবেল পান একটি করে উইকেট।
এক ম্যাচ হাতে রেখে ত্রিদেশীয় সিরিজের ট্রফি আগেই নিশ্চিত করে ফেলেছে নিউজিল্যান্ড। তাদের জন্য এ ম্যাচটা সে অর্থে মোটেও গুরুত্বপূর্ণ নয়।কিন্তু আইসিসি রেটিং পয়েন্টের নিরিখে এ ম্যাচটা গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের জন্য। জিতলে যোগ হবে দুই পয়েন্ট, হারলে হারোতে হবে পয়েন্ট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড ৫০ ওভারে ২৭০/৮ ( নাথান ৮৪, রনচি ২, ব্রুম ৬৩, অ্যান্ডারসন ২৪, টেলর, নিশাম ৬, সান্টনার ০, মনেরো ১ ; মাশরাফি ২/৫২ , মোস্তাফিজ ১/৪৬, সাকিব ২/৪১ , নাসির ২/৪৭, রুবেল ১/৫৬)