বের করে আনা হয়েছে পাঁচজনকে

SHARE

নরসিংদীর গাবতলীর উত্তরপাড়ায় সন্দেহভাজন জঙ্গি আস্তানা থেকে আজ রোববার সকালে পাঁচজনকে বের করে আনা হয়েছে। তাদের বয়স ১৫ থেকে ২২ বছরের মধ্যে। সকালে দ্বিতীয় দিনের অভিযান শুরুর আধা ঘণ্টার মধ্য তাদের বের করে আনেন র‍্যাব সদস্যরা। এখন বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলের সদস্যরা ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালাচ্ছেন।

এর আগে সকালে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান ঘটনাস্থল থেকে সংবাদকর্মীদের বলেন, ‘ভেতরে যাঁরা আছেন, তাঁদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। তাঁরা আত্মসমর্পণ করতে রাজি হয়েছেন। নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে অল্প সময়ের মধ্যে আত্মসমর্পণ–প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।’ এর পরপরই ওই পাঁচজনকে বের করে আনা হয়।

এদিকে ভেতরে যাঁরা ছিলেন—এমন তিনজনের পরিবারের সদস্য ও স্বজনেরা ঘটনাস্থলে যান। ফোনে ঘটনা সম্পর্কে জেনে তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। ওই তিনজন হলেন মো. মশিউর রহমান, সালাউদ্দীন ও আবু জাফর মিয়া।

মো. মশিউর রহমানের নানা মো. আবদুল হাই ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ভৈরবের বাঁশগাড়ি থেকে এসেছেন তিনি। রাত ১১টার দিকে নাতির ফোন পান তিনি। মশিউরের বাবার নাম ফজলুর রহমান। তিনি একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।

সালাউদ্দীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন। তাঁর বাবার নাম আবদুর রহমান। তিনি ঘটনাস্থলে এসেছেন। তিনি বলেন, কাল বিকেলে তিন-চারজন ছাত্র পড়তে আসে সালাউদ্দীনের কাছে। পড়তে আসা ছাত্রদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা চলে যেতে বলেন। সালাউদ্দীনের বাড়ি নরসিংদীর চর দিঘলদী গ্রামে। তিনি গত পরশু চর দিঘলদী থেকে উত্তরপাড়ার এই বাসায় যান। তিনি চাকরির পড়াশোনার জন্য এই বাড়িতে থাকেন।

আর আবু জাফর মিয়ার পরিচিত একজন বেসিক এডুকেশন একাডেমির শিক্ষক মাহফুজুল আলম ঘটনাস্থলে এসেছেন।

এদিকে এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। এলাকার কয়েকজন জানালেন, তাঁদের মধ্যে খুব অস্থিরতা কাজ করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, ‘নরসিংদীতে কেউ যেন অবিচারের শিকার না হয়।’ দশম শ্রেণির একটি ছাত্র ভেতরে আছে জানার পর তাঁরা উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

গতকাল রাতে নরসিংদীর গাবতলীর উত্তরপাড়ায় সন্দেহভাজন জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পায় র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। বর্তমানে র‍্যাব ও পুলিশ আস্তানা সন্দেহে বাড়িটি ঘেরাও করে রেখেছে।