২৪আওয়ার রিপোর্ট : আওয়ামী লীগ তাদের ‘অবৈধভাবে’ উপার্জিত অর্থ-সম্পদ রক্ষা করতেই জোর করে ক্ষমতায় থাকার ‘নীলনকশা’ করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার সকালে মহান মে দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের শোভাযাত্রাপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এই অভিযোগ করেন।
ফখরুল ইসলাম বলেন, উনি (ওবায়দুল কাদের) বলেছেন, আজ যে রোজগার করছেন তারা, আয় করছেন, সেই আয় নিয়ে পালাতে পারবে না যদি তারা ক্ষমতায় না থাকেন। আজকে তারা স্বীকার করে নিয়েছেন, যে তারা অবৈধ উপায়ে অর্থ উপাজর্ন করছে, তাদেরকে জোর করে হলেও ক্ষমতায় টিকে থাকতে হবে। সেজন্য তারা এসব বলার চেষ্টা করছেন। আমি তার বক্তব্যের ধিক্কার জানাই।
তিনি বলেন, আমরা স্পষ্টভাষায় বলতে চাই, দেশের জনগণ সেটা (জোর করে ক্ষমতায় থাকা) কখনোই মেনে নেবে না। অবশ্যই তাদের নীলনকশা বাস্তবায়ন হতে দেবে না।
ফখরুল আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে টাকা-পয়সা নিয়ে পালাতে হবে। তা কি ভাবেন না? দল যদি ক্ষমতায় না থাকে, এখন যে টাকা- পয়সা রোজগার করছেন, তখন এই টাকা নিয়ে পালিয়ে বেড়াতে হবে। এটা ভাবতে হবে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেন, সরকার জোর করে ক্ষমতায় টিকে আছে। আজকে সমগ্র বাংলাদেশে শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য অধিকার পাচ্ছে না, তারা নির্যাতিত হচ্ছে শুধু শ্রমিক সংগঠন করার কারণে।
তিনি বলেন, শ্রমিকদের অধিকার আদায়েরর জন্য জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। শ্রমিকদের অধিকার রক্ষার জন্য শ্রমিক ভাইদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। শ্রমিকদের অধিকার আদায় করে নিতে হবে, অর্জন করে নিতে হবে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। শ্রমিক ঐক্য জিন্দাবাদ।
এর আগে সকাল পৌনে ১১টায় নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল মে দিবসের শোভাযাত্রা বের করে। মিছিলটি শান্তিনগর মোড় ঘুরে আবার নয়া পল্টনের কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরির দাবি সম্বলিত নানা প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে শতাধিক নেতা-কর্মী এই শোভাযাত্রায় অংশ নেয়।
শোভাযাত্রাই ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও নজরুল ইসলাম খান, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম খান নাসিম, কেন্দ্রীয় নেতা আবুল কালাম আজাদ, মেহেদি আলী খান, মোস্তাফিজুল করীম, মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, আসাদুজ্জামান বাবুল, মহানগর বিএনপি দক্ষিণের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, ও মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশারসহ আরো অনেকে অংশ নেন।