জঙ্গি কার্যক্রমে বিদেশি বিশেষ গোষ্ঠীর অর্থায়ন থাকতে পারে

SHARE

২৪আওয়ার রিপোর্ট: জঙ্গিবাদের অর্থায়নের উৎসগুলো সম্পর্কে ডিএমপি পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছেন, অর্থায়নের উৎস সব কটি এখনো পুরোপুরি চিহ্নিত করা যায়নি। যতটুকু চিহ্নিত হয়েছে, তাতে দেখা গেছে, জঙ্গিদের সমমনা কিছু দেশি ও প্রবাসী লোক এই অর্থের জোগান দিচ্ছেন। আর যেসব জঙ্গি জঙ্গিবাদে যুক্ত হতে ঘর ছেড়েছেন (হিজরত), তারা সহায়-সম্পত্তি সংগঠনকে বিলিয়ে দিয়েছেন।

শনিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সম্প্রতি পরিচালিত জঙ্গিবিরোধী দুটি অভিযানের বিষয়ে জানানো হয়। এ সময় ২২ এপ্রিল ঝিনাইদহ ও ২৬ এপ্রিল চাঁপাইনবাবগঞ্জের জঙ্গিবিরোধী অভিযানের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়।

প্রবাসী বাঙালি ছাড়া বিদেশি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান জঙ্গিবাদে অর্থ জোগাচ্ছে কি না, তা জানতে চাইলে মনিরুল বলেন, এর আগে আমরা জেএমবি সদস্যদের জাল মুদ্রা কারবারে যুক্ত হতে দেখেছি। আমাদের পাশের একটি দেশের এ জাল মুদ্রাগুলো প্রতিবেশী আরেকটি দেশ থেকে তৈরি হয়ে আসত। জেএমবি সদস্যরা এই মুদ্রা পাচারের সঙ্গে জড়িত ছিল বলে অতীতে দেখা গেছে। এসব মুদ্রা পাচারের অভিযোগে বাংলাদেশ থেকে সেই প্রতিবেশী দেশের কূটনৈতিক প্রত্যাহারও হয়েছেন। সুতরাং, জঙ্গিবাদে বিদেশি অর্থায়নের সম্ভাবনা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

এর আগে সরকারদলীয় নেতারা বিএনপি বা জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদে পৃষ্ঠপোষকতার যে অভিযোগ এনেছেন, তা কতটা যুক্তিযুক্ত বা বাস্তব—জানতে চাইলে মনিরুল বলেন, এটা উদাহরণ দিয়ে বলতে হবে। জঙ্গিদের অনেককে পাওয়া গেছে, যাদের এ ধরনের রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত থাকার অতীত রয়েছে। যেমন সম্প্রতি চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিহত আবু। তিনি জামায়াতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আবুর পুরো পরিবার ও তার শ্বশুরের পরিবারও জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। বলা হয়, আবু বিয়ের পর জঙ্গিবাদে যুক্ত হন।