২৪আওয়ার বিনোদন ডেস্ক : গণমাধ্যমে চলচ্চিত্র পরিচালক ও শিল্পীদের নিয়ে মন্তব্য করে বিপাকে পড়েছেন ঢালিউডের বেতাজ বাদশাহ শাকিব খান।
ইতিমধ্যে পরিচালক সমিতির উকিল নোটিশের কারণে শাকিবের বহুল আলোচিত ‘রংবাজ’ সিনেমার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।
জানা যায়, মঙ্গলবার পরিচালক সমিতির উকিল নোটিশ পাবনায় সিনেমাটির শুটিং সেটে পৌঁছালে সিনেমাটির নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়।
এর আগে মঙ্গলবার শাকিব কেন মন্তব্য করলেন সেটার কৈফিয়ত না দেয়া পর্যন্ত তাকে নিয়ে শুটিং বন্ধ রাখার জন্য নোটিশ পাঠায় পরিচালক সমিতি।
সোমবার এক লিগ্যাল নোটিশে শাকিবকে নিয়ে ছবির নির্মাণ না করতে পরিচালকদের আহ্বান জানিয়েছে পরিচালকদের এই সমিতি।
গণমাধ্যমকে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির যুগ্ম-মহাসচিব শাহীন সুমন বলেন, ‘মঙ্গলবার সন্ধ্যার আগেই পাবনায় ‘রংবাজ’ ছবির সেটে পরিচালক সমিতি থেকে শাকিবকে নিয়ে শুটিং বন্ধ রাখার নোটিশ পাঠানো হয়েছে। শাকিব যতক্ষণ পর্যন্ত তার মনগড়া মন্তব্যের জবাব না দেবে ততদিন শুটিং বন্ধ রাখতে হবে।’
এদিকে বুধবারই পাবনা থেকে ঢাকায় ফেরার কথা শাকিবের। ঢাকাতে ফিরেই পরিচালকসহ সিনেমা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানে শাকিব উদ্যোগ নিবেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।
চিত্রনায়ক শাকিব খানকে নিয়ে কাজ না করার জন্য পরিচালক সমিতির মহাসচিব বদিউল আলম খোকন স্বাক্ষরিত এক নোটিশে লেখা রয়েছে, ‘সম্প্রতি শাকিব খান জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও মিডিয়ায় চলচ্চিত্র পরিচালকদের উদ্দেশ্য করে মানহানিকর বক্তব্য দেয়ায় সমিতির ভাবমূর্তি ও সম্মান রক্ষার্থে কার্যনির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তার বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে সম্মানজনক সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত তাকে নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ সংক্রান্ত সব কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।’
এ দিকে পরিচালক সমিতি কর্তৃক এমন নোটিশ দেয়ার বিষয়ে শাকিব খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সমিতির মহাসচিব তার ব্যক্তিস্বার্থে ক্ষমতাবলে সমিতিকে ব্যবহার করছেন। আমি যা বলেছি এ ধরনের কথা হরহামেশাই সবাই বলে থাকেন। ইন্ডাস্ট্রিতে এখন অনেকেই বেকার। এটা সময়ের কারণে হয়। কাউকে হেয় করার জন্য আমি কিছুই বলিনি। খোকন আমার কাছে বছরখানেক আগে সিডিউল চেয়েছিল। কিন্তু টাইট সিডিউল ও ব্যস্ততার কারণে তাকে সিডিউল দিতে পারিনি। এ কারণে বিষয়টিকে তিনি ব্যক্তিগত শত্রুতা হিসেবে ধরে নিয়েছেন। এবং সেটি সমিতির প্রভাব খাটিয়ে আমার বিরুদ্ধে ব্যবহার করছেন।
আমি বলব, সমিতির এ ধরনের সিদ্ধান্ত বরং বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের ক্ষতি করছে। এমন সিদ্ধান্ত কখনই ইন্ডাস্ট্রির জন্য ভালো হতে পারে না। আশা করব, পরিচালক সমিতির নেতারা শিগগিরই তাদের ভুল বুঝতে পারবেন। কারণ আমি জেনেছি, অনেক ব্যস্ত পরিচালক সমিতির এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত পোষণ করেননি।’
প্রসঙ্গত, শাকিব খান কিছুদিন আগে সংবাদমাধ্যমে বলেছেন ‘এখন যেহেতু বেশি সিনেমা নির্মিত হচ্ছে না, তাই বেকার লোকের সংখ্যাও একটু বেশি। পরিচালক সমিতির তালিকায় দেখবেন অনেক পরিচালক। তারা বিএফডিসিতে আড্ডাও মারছেন। কিন্তু কাজ করছেন কতজন? প্রযোজকের ক্ষেত্রেও দেখবেন একই অবস্থা। শিল্পীদের ক্ষেত্রেও তা-ই। অনেক শিল্পী তো নিবন্ধিত আছেন, কাজ করছেন কতজন?’ শাকিবের এই বক্তব্যটির বিরুদ্ধে পরিচালক সমিতি অবস্থান নেয়। এবং শেষ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠায়।