নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার

SHARE

4085নৌযান শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ তাদের কর্মবিরতি কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছে। মঙ্গলবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ কার্গো ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ, লঞ্চ, কার্গো, তেলবাহী জাহাজ মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ এবং সরকারের সঙ্গ ফলপ্রসু আলোচনা সাপেক্ষে তাদের ২৭ জানুয়ারি থেকে আহুত কর্মবিরতি কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে।

নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব অশোক মাধব রায়, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান, সমুদ্র পরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমোডর এম জাকিউর রহমান ভূঁইয়া, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর এম মোজাম্মেল হক, শ্রম পরিচালক এস এম আশরাফুজ্জামান, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন (যাপ) সংস্থার সভাপতি মাহাবুব উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম, কার্গো ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি গাজী বেলায়েত হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

শ্রমিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. শাহ আলম ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম, বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ, বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শেখ মো. ইছা মিয়া, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাদাত হোসেন এবং বাংলাদেশ কার্গো ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ১৫ দফা, বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশনের ৭ দফা, বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের ৩৫ দফা, বাংলাদেশ কার্গো ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের ১৩ দফা দাবি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

নৌযান শ্রমিকদের উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হলো শ্রমিকদের নিয়োগপত্র/পরিচয়পত্র ও সার্ভিসবুক, সামাজিক নিরাপত্তা, সর্বনিম্ন মজুরি, চিকিৎসা ব্যয়সহ অন্যান্য ভাতা বৃদ্ধি।

বৈঠকে শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণের বিষয়ে একটি সাব-কমিটি গঠন করা হয়েছে। যার প্রধান হলেন শ্রম পরিদফতরের উপ-পরিচালক। অন্য সদস্যরা হলেন সমুদ্র পরিবহন অধিদফতর, বিআইডব্লিউটিএ এবং মালিক-শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ। সাব-কমিটি ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে শ্রম পরিচালকের নিকট প্রস্তাব পেশ করবে।

বৈঠকে জানানো হয় যে, পাইপলাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল পরিবহনের বিষয়ে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করা হবে। পণ্য পরিবহন ও খালাসের বিষয়ে ঘাটের সমস্য সমাধানে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর এবং বিআইডব্লিউটিএ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।