দুর্নীতির অভিযোগ থেকে রেহাই পেয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক। দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আপানদি জানিয়েছেন, নাজিব রাজাক সৌদি রাজ পরিবারের পক্ষ থেকে যে অর্থ নিয়েছেন তা উপঢৌকন বা ঘুষ হিসেবে দেয়া হয়নি। মঙ্গলবার মালয়েশিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল এসব কথা বলেন।
মোহাম্মদ আপানদি বলেন, সৌদি রাজ পরিবার থেকে পাওয়া যে ৬৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার পাওয়া গেছে তা দানের অর্থ। তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন সংস্থার গঠিত তিনটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে কোনো অপরাধ সংঘটনের প্রমাণ মেলেনি। তাই তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে না।
অ্যাটর্নি জেনারেল আরো জানান, ব্যবহৃত না হওয়ায় সৌদি রাজ পরিবারের কাছ থেকে পাওয়া ৬২ কোটি ডলার ফেরত দিয়েছেন নাজিব।
এর আগে ওয়ানএমডিবির তহবিল থেকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের ব্যাক্তিগত অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি ডলার স্থানান্তরের অভিযোগ ওঠে। দেশটির দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করে। এরপর নাজিব রাজাক অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করেন। কিন্তু সরকার বিরোধীরা তার পদত্যাগের দাবি তোলেন।
গত জুলাইয়ে মালয়েশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী হাজি মুহাইদ্দিন নাজিব রাজাকের সমালোচনা করায় তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের নেতৃত্বে থাকা অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল গনি প্যাটাইলকেও দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
২০০৯ সালে নাজিব রাজাক ওয়ানএমডিবি প্রতিষ্ঠা করেন। এই কোম্পানির অ্যাকাউন্ট থেকে ৭০০ মিলিয়ন ডলার নাজিব রাজাকের ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।
দেশটির দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাও সে সময় জানায়, সাত শ` মিলিয়ন ডলার অর্থ দাতারা প্রধানমন্ত্রীর ব্যাংক হিসেবে জমা করেছে। এর সঙ্গে ওয়ানএমডিবির কোনো সম্পর্ক নেই।
উল্লেখ্য, মালয়েশিয়া ডেভেলপিং বারহাদ (ওয়ানএমডিবি) দেশটির সরকার নিয়ন্ত্রিত একটি কোম্পানি, উন্নত মালয়েশিয়া গড়তে কৌশলগত নীতি ও পরিকল্পনা প্রণয়ন করে থাকে কোম্পানিটি। এছাড়া সরকারি ও বেসরকারি কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা করে টেকসই বাজার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ওয়ানএমডিবি কাজ করছে।