বাল্যবিয়ে রোধে ছাত্রীদের মাঝে সাইকেল বিতরণ

SHARE

1987আর যেন কোনো মেয়েকে বাল্যবিয়ের শিকার হতে না হয় এবং তারা যেন কয়েক কিলোমিটার দূর থেকেও স্কুলে আসতে পারে তার জন্য এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন ভায়না শহীদ মোশারফ-দলিল উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটি। ১৭ জন শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দেয়া হয়েছে ১৭টি সাইকেল।

ভায়না শহীদ মোশারফ-দলিল উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, তাদের প্রতিষ্ঠানটি ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত। বর্তমানে ৬২৭ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। যার মধ্যে ৬০ শতাংশ মেয়ে। বিদ্যালয়টি ঝিনাইদহ শহর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার আর উপজেলা শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে পাড়াগাঁয়ে অবস্থিত। প্রতিষ্ঠানটি পাড়াগাঁয়ে হলেও পড়ালেখার মান খুবই ভালো। গত এসএসসি পরীক্ষায় ১০৯ জন অংশ নিয়ে সবাই পাস করেছে। ৯ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ২০১৫ সালে ওই প্রতিষ্ঠানের ১৪টি মেয়ের পথের কষ্ট দূর করতে বিয়ের পিঁড়িতে বসিয়ে দিয়েছেন তাদের পরিবার। প্রতি বছরই ১২ থেকে ১৫টি মেয়েকে অল্প বয়সে বিয়ে দেন তাদের অভিভাবকরা। তাদের বক্তব্য মেয়েকে এতো দূরের স্কুলে পাঠিয়ে লেখাপড়া করানো সম্ভব নয়। পায়ে হেঁটে ৪ থেকে ৫ কিলোমিটার দূরের স্কুলে যাওয়া তাদের জন্য খুবই কষ্টকর। মাঝে মধ্যেই বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়ে অনেক মেয়ে।

শিক্ষার্থী শিখা খাতুন বলেন, তার বাবার পক্ষে একটা সাইকেল কিনে দেয়ার সমর্থ নেই। কষ্ট করেই তাকে আসতে হতো। বেশি দিন হয়তো আসা হতো না বিয়ের আয়োজন করা হতো। সাইকেল পেয়ে সেই চিন্তা দূর হয়েছে। আশা জেগেছে বাকি পড়ালেখা শেষ করতে পারবে।

বিদ্যালয়ের সভাপতি ও ঝিনাইদহ পৌর মেয়র সাইদুল করিম বলেন, পাড়াগাঁয়ের স্কুল হওয়ায় মেয়েরা অল্প বয়সে বিয়ের পিঁড়িতে বসবে এটা হতে পারে না। তাই তিনি এই কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন।