গাজীপুরের কালীগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলওয়ে সড়কের বড়নগর নামক স্থানে ট্রেনের ধাক্কায় একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা খাদে পড়ে গেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে ঢাকাগামী সিলেট মেইল এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় সিএনজি চালকসহ তিনজন আহত হয়েছেন। আহতের মধ্যে সিএনজি চালকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে জরুরিভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার নাম পরিচয় জানা যায়নি। তবে তার বয়স হবে আনুমানিক ২৮ বছর। বাড়ি নরসিংদীর পলাশ উপজেলার নেহাব এলাকায় বলে জানা গেছে।
আহতরা হলেন, উপজেলার বাহাদুরসাদী ইউনিয়নের বেতুয়া গ্রামের রাজন চন্দ্র দাসের স্ত্রী লিপি রাণী দাস (২৪) ও তার ভাগ্নি কালীগঞ্জ পৌর এলাকার মুনশুরপুর গ্রামের শ্রীধামের মেয়ে মিথিলা (৭)।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সকালে নরসিংদীর পলাশ এলাকার ভাটপাড়ার বাবার বাড়ি থেকে সিএনজিযোগে লিপি তার স্বামীর বাড়ি বেতুয়া গ্রামে যাচ্ছিলেন। এসময় কালীগঞ্জ-টঙ্গী-ঘোড়াশাল বাইপাস সড়ক সংলগ্ন কালীগঞ্জ পৌর এলাকার বড়নগর রেল ক্রসিং এ ঢাকাগামী ওই ট্রেনের সঙ্গে সিএনজির ধাক্কা লাগে। ট্রেনের ধাক্কায় সিএনজিটি ধুমরে মুচরে রেলের পাশে খাদে পড়ে যায়। এতে ওই সিএনজির চালকসহ দুই যাত্রী আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশু মিথিলাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেন। আর চালক ও লিপির অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে তাদের ঢামেকে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক জেসমিন আরা জানান, সিএনজি চালকের মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত রয়েছে। এতে তার ডান পা ভেঙে গেছে এবং নাক-মুখ দিয়ে রক্ত ক্ষরণ হচ্ছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
স্থানীয়রা জানান, বড়নগর রেল ক্রসিংয়ে কয়েকদিন পর পর এ ধরনের রেল দুর্ঘটনা ঘটে। কিন্তু রেল কর্তৃপক্ষ ওই রেল ক্রসিংয়ে কোনো ব্যারিগেট না দেয়ায় অনেকের অকালেই মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া অনেককে পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয়েছে। তাই এলাকাবাসীর দাবি রেল কর্তৃপক্ষ যেন অবিলম্বে ওই এলাকায় রেল ব্যারিগেট স্থাপন করে।