আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “আমাদের চ্যালেঞ্জ বিএনপির আন্দোলন নয়, বিএনপির আন্দোলন চোরাবালিতে আটকে গেছে। তারা গণতন্ত্র উদ্ধারের নামে গণতন্ত্রকে পুড়িয়ে মারার ষড়যন্ত্র করেছে। ৫ জানুয়ারি বিএনপিকে ‘অনুতাপ দিবস’ পালন করতে হবে। সেটাই হবে তাদের জন্য প্রধান।”
সোমবার দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলা পাদদেশে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৬৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, “আজকে আমাদের কঠিন চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদ। এ সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদ রুখতে আমাদের সবাইকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েই এ উগ্রবাদকে রুখতে হবে।”
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “যারা বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে চায়, তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে। বাংলাদেশ আজ পাকিস্তানের মতো কোনো বিপদগ্রস্থ দেশ নয়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ গৌরবে, সৌরভে, উন্নয়নে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা শুধু তাদের (পাকিস্তান) কাছ থেকে পারমাণবিক শক্তিতে পিছিয়ে আছি। কিন্তু আমি বলবো পারমাণবিক শক্তি আমরা চাই না।”
বাংলাদেশ বিশ্বের বিস্ময় মন্তব্য করে ছাত্রলীগের সাবেক এ সভাপতি বলেন, “বাংলাদেশ আজ বিশ্বে বিস্ময়। আমরা দেখিয়ে দিয়েছি যে আমরাও পারি। বিশ্বব্যাংক আমাদের চোর বানাতে চেয়েছিল কিন্তু আমরা প্রমাণ করেছি যে আমরা চোরের জাতি নয়, আমরা বীরের জাতি। আমরাও পারি। আজ আমরা নিজেদের অর্থায়নে পদ্মাসেতু করছি। সেতু নির্মাণের কাজ পুরো ধমে এগিয়ে চলছে।”
তিনি আরো বলেন, মেট্রোরেল নিমার্ণের কাজ শুরু হয়েছে। এ মাসেই প্রধানমন্ত্রী এটি উদ্বোধন করবেন। মে মাসে ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডের চার লাইন উদ্বোধন করা হবে। শেখ হাসিনার প্রজ্ঞায় আমরা ১ জানুয়ারি শুক্রবার থাকা স্বত্ত্বেও শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই পৌঁছে দিয়েছি।
এরপর বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে ছাত্রলীগের ৬৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধন করেন তিনি। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শুরু হয় জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে। সংগঠনের সভাপতি মো. সাইফুর রহমান সোহাগের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এ এস এম জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সংগঠনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপসহ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বৃন্দ।
অনুষ্ঠান শেষে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি শাহবাগ, মৎস্য ভবন, কাকরাইল ও বিজয় নগর মোড় হয়ে ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ গিয়ে শেষ হবে। এর আগে সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেন করেন সংগঠনটির নেতারা। এছাড়া সকাল ৮টা ১ মিনিটে কার্জন হলে কেক কাটা হয়।