তথ্য গোপন করে জটিলতায় ফেসবুক

SHARE

1296শেয়ার বাজারে ২০১২ সালে তালিকাভূক্তির আগে ফেসবুকের বিরুদ্ধে আর্থিক তথ্য গোপন করার অভিযোগ দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত বলছে, সেই মামলা চলতে এখন কোনো সমস্যা নেই।

ফেসবুক কর্তৃপক্ষ আর্থিক তথ্য গোপন করার কারণে যেসব বিনিয়োগকারী তাদের অর্থ হারিয়েছেন তারা চাইলে দলবদ্ধভাবে সেই ক্ষতিপূরণের টাকা দাবি করতে পারবেন। আদালত এ সিদ্ধান্ত দেয়ার পর ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বিবিসিকে জানিয়েছে, তারা এই সিদ্ধান্তে হতাশ এবং এর বিরুদ্ধে আপিল করবে।

২০১২ সালে শেয়ার বাজারে আইপিও ছাড়ার মাধ্যমে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বাজার থেকে ১৬ বিলিয়ন ডলার আয় করে। বিনিয়োগকারীরা বলছেন, ফেসবুকের শেয়ারের দাম বেশি ধার্য করা হয়েছিল। সেজন্য বেশি দামে ফেসবুকের শেয়ার কিনে তারা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে।

ওই বছর মে মাসে নিউইয়র্ক স্টক মার্কেটে ফেসবুকের শেয়ার লেনদের শুরু হয় এবং প্রতি শেয়ার ৩৮ ডলারে কেনা-বেচা হয়। কিন্তু এর মাত্র চার মাসের মাথায় ফেসবুকের শেয়ারের দাম অর্ধেকে নেমে আসে। এই অর্ধেক দাম প্রায় এক বছর বজায় ছিল।

যদিও শেষ পর্যন্ত ফেসবুকের শেয়ারের দাম আবার বাড়তে থাকে এবং গত মঙ্গলবার পর্যন্ত নিউইয়র্কের স্টক মার্কেটে সেটি ১০৭.২৬ ডলারে লেনদেন হয়। বিনিয়োগকারীরা বলেন, মোবাইল ডিভাইসের গ্রাহকের সংখ্যা বেড়ে যাবার কারণে ভবিষ্যতে বিজ্ঞাপন থেকে ফেসবুক যে বাড়তি অর্থ লাভ করবে সে বিষয়টি তারা ২০১২ সালের তথ্যে অন্তর্ভুক্ত করেনি। কারণ ২০১২ সালে মোবাইল ডিভাইসে বিজ্ঞাপনের মাত্রা কম ছিল।

বিচারক বলছেন, ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তাদের তথ্য এমনভাবে উপস্থাপন করেছিল যাতে মনে হয় শেয়ারহোল্ডাররা বিষয়টি আগেই জানতো। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ চেয়েছিল, কোনো বিনিয়োগকারী যদি নিজেকে ক্ষতিগ্রস্ত মনে করে তাহলে সে যেন ব্যক্তিগতভাবে সেটি দাবী করে। কিন্তু ফেসবুক কর্তৃপক্ষের এই চাওয়া আদালত নাকচ করে দিয়েছে।