ফিলিপাইনে অব্যাহত ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ব্যাপক বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। দেশটিতে গত এক সপ্তাহের খারাপ আবহাওয়ার কারণে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। দেশের এ অবস্থাকে সরকার ‘জাতীয় দুর্যোগ’ ঘোষণা করেছে। খবর আলজাজিরা ও এএফপির।
সরকারি আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, একটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় চাপ দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। তবে মধ্যাঞ্চলীয় ভিসাইয়াস দ্বীপপুঞ্জ এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রধান দ্বীপ মিন্দানাওয়ে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। উত্তরপূর্ব থেকে ঠান্ডা মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে উত্তরাঞ্চলের প্রধান দ্বীপ লুজনে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এই অঞ্চলে বিস্তীর্ণ আবাদী জমি বন্যার গভীর পানিতে তলিয়ে গেছে। সপ্তাহের শুরুতে ঝড় টাইফুন মেলরের প্রভাবে এই বন্যা দেখা দিয়েছে।
ফিলিপাইনের রাষ্ট্রীয় আবহাওয়া ব্যুরো রবার্ট বাডরিনা বলেন, প্রায় পুরো ফিলিপাইনে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়েছে। আরো বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্তা পিএনএ এক প্রতিবেদনে বলছে, ফিলিপাইনের কিছু কিছু অঞ্চলে ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে। প্রেসিডেন্ট বেনিগনো অ্যাকুইনো দেশের এ অবস্থাকে জাতীয় দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। টাইফুন মেলরের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে ত্রাণ সহায়তা এবং পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
আবহাওয়া ব্যুরো সেবু, নেগরোস ও বোহোল দ্বীপপুঞ্জে ঘণ্টায় ৩০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে সতর্ক করেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অন্যত্র সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জাতীয় দুর্যোগ সংস্থা জানিয়েছে, মিন্দানাওয়ের দরিদ্র কৃষি অঞ্চল কারাগা থেকে প্রায় ১০ হাজার লোককে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। সরকারের সব বিভাগ ও সংস্থা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সমন্বয় করে মৌলিক সহায়তা দিচ্ছে।
২০১৩ সালে দেশটিতে টাইফুন হাইয়ানের আঘাতে কমপক্ষে ৬ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে। এছাড়া গৃহহীন হয়ে পড়ে আরো অন্তত কয়েক লাখ মানুষ।