আন্তনদী সংযোগ নিয়ে উদ্বেগ সংসদীয় কমিটির

SHARE

ভারতের আন্তনদী সংযোগ প্রকল্প নিয়ে মোদি সরকার নতুন করে পদক্ষেপ নেয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। ভারতের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে এই প্রকল্পে ১০০ কোটি রুপি বরাদ্দ রেখেছে দেশটি। এ বিষয়ে ভারতের কাছে বিস্তারিত জানতে চাওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিটি।image_90860_0

বুধবার সংসদ ভবনে বৈঠকের পর সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রমেশ চন্দ্র সেন সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

রমেশ চন্দ্র জানান, বহুল আলোচিত আন্তনদী সংযোগ প্রকল্প নিয়ে আগে থেকেই বাংলাদেশের পরিবেশবিদরা আন্দোলন করে আসছিলেন। প্রকল্পটিতে নতুন করে অর্থ বরাদ্দ আসলে কী সংকেত দেয়, তা নিয়ে পরিবেশবিদরাও শঙ্কিত। কমিটির সদস্যরাও এ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তাই কমিটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এ বিষয়ে ভারত সরকারের মনোভাব জানতে বলা হয়েছে।

১৯৯৮ সালে বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএ জোট সরকার গঠনের পর প্রথম আন্তনদী সংযোগ প্রকল্প হাতে নেয় ভারত। পরে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোটের আমলে পরিবেশবাদীদের বিরোধিতার কারণে তা এগোয়নি। এরপর ২০১২ সালে ভারতের উচ্চ আদালত এ প্রকল্প বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন। সম্প্রতি নরেন্দ্র মোদির সরকার ভারতের কেন্দ্রীয় বাজেটে এ প্রকল্পে ১০০ কোটি রুপি বরাদ্দ দিয়েছে।

দেশের নদীগুলোর ড্রেজিং নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে কমিটির সভাপতি রমেশ চন্দ্র বলেন, কুষ্টিয়া, যশোর, সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাটে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভিন্ন প্রকল্প সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন তারা। এসব এলাকায় নদী ড্রেজিংয়ের যেসব প্রকল্প রয়েছে, তার অনেক জায়গায় ঠিকমতো কাজ হয়নি। এ কারণে এসব জেলায় লবণাক্ত পানি বেশি ঢুকছে।”  কমিটি গড়াই সেতুর তিন-চার কিলোমিটার জায়গা নিয়মিত ড্রেজিংয়ের মধ্যে রাখতে পরামর্শ দিয়েছে বলে জানান তিনি।

রমেশ চন্দ্র জানান, ভারতের সঙ্গে সীমান্তবর্তী নদীতে এ বছরের মধ্যে ২০ কিলোমিটার বাঁধ দেয়ার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। তিনি বলেন, “বর্ষায় ভারত থেকে পানির প্রবাহ বেড়ে যায়। এ কারণে ৪০ কিলোমিটার বাঁধ দিতে হবে। এ বছর ২০ কিলোমিটার করার সুপারিশ হয়েছে।”

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে প্রবাহিত অভিন্ন নদীর পানি খাল খননের মাধ্যমে ভারতের শুষ্ক অঞ্চলে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে আন্তনদী সংযোগ প্রকল্পের মাধ্যমে। এতে বাংলাদেশে পানির প্রবাহ কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

রমেশ চন্দ্র সেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, তালুকদার আব্দুল খালেক, এ কে এম ফজলুল হক, মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ও সেলিনা জাহান লিটা অংশ নেন।