গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে পুলিশ কনস্টেবল পরিমল চন্দ্র রায়ের স্ত্রী কৃষ্ণা রানী রায় (২৫) ও তার ২১ মাসের শিশু কন্যা অর্পিতা রানীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সুন্দরগঞ্জ পৌর এলাকার বামনজল এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে কৃষ্ণা রানীর গলায় রশি পেঁচানো ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
কনস্টেবল পরিমল চন্দ্র সুন্দরগঞ্জ থানায় কর্মরত। তার বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলায় ও তার স্ত্রী কৃষ্ণা রানীর বাড়ি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায়।
স্থানীয় লোকজন ও প্রতিবেশীরা জানান, কনস্টেবল পরিমল চন্দ্র রায় প্রতিদিনের মত স্ত্রী কৃষ্ণা রানী ও শিশু কন্যা অর্পিতা রানীকে নিয়ে সোমবার রাতে ঘুমিয়ে পড়েন। ভোরে পরিমল চন্দ্র ঘুম ভেঙে দেখতে পান তার ২১ মাস বয়সের শিশু কন্যা অর্পিতা রানী মারা গেছে। এ সময় তার স্ত্রী কৃষ্ণা রানীকেও তিনি বিছানায় দেখতে পাননি। পরে ঘরের বাইরে এসে রান্না ঘরের তীরের (ধরনার) সঙ্গে স্ত্রী কৃষ্ণা রানীর গলায় রশি পেঁচানো ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান।
সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইসরাইল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে কৃষ্ণা রানী ও অর্পিতার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
তিনি আরও জানান, এ নিয়ে কৃষ্ণা রানীর পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মামলা করা হলে পরিমল চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে কি কারণে কৃষ্ণা রানী গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে তা নিশ্চিত করে জানা যায় নি। এ ঘটনায় জেলা পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো. রবিউল ইসলামসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
পুলিশ সুপার বলেন, পুরো ব্যাপারটি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পরিমল থানায় অবস্থান করছিলেন। তবে এ বিষয়ে কনস্টেবল পরিমল চন্দ্র রায়ের সঙ্গে যোগায়োগের চেষ্টা করেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।