যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি আরেকটি সম্মান অর্জন করলো, যদিও এটি বহু আগে হওয়া উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
রোববার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘নুরেমবার্গ ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস অ্যাওয়ার্ড ২০১৪-১৫ অর্জনে শ্রমিক নেতা আমিনুল হক আমিনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রাশেদ খান মেনন বলেন, গত দু’দিন আমরা নাটক দেখেছি। শেষ বেলায়ও দম্ভ দেখাতে ভুল করেননি সাকা চৌধুরী। রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার বিষয়েও বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতির কাছে তার পরিবার নালিশ করেছে, ‘সংবিধান অনুযায়ী নাকি তার বিচার করেনি। তার (সাকা) সাফাই সাক্ষী দিতে দেওয়া হয়নি। সার্টিফিকেট গ্রহণ করা হয়নি। অথচ এসব বিষয়ে রায়ে স্পষ্ট বিবরণ আছে।’
ক্ষমা চাওয়ার বিষয়ে বিভ্রান্ত ছড়ানো নিয়ে রাশেদ খান মেনন বলেন, ক্ষমা নিশ্চয়ই তিনি চেয়েছেন। ক্ষমা পাননি। তবে আমি বলবো, সত্যিকারার্থে ক্ষমা চাইলে হয়তো দেশের মানুষ তাকে ক্ষমা করতো।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলা অনুষদের ডিন আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু, ঢাকাস্থ আইএলও প্রতিনিধি উত্তম কুমার দাস, ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান প্রমুখ।