ইনি রাঁধেন, চুলও বাঁধেন, আবার অলিম্পিকে সোনার মেডেলও জেতেন। ইনি সুন্দরী, অসাধারণ নৃত্যশিল্পী। একে দেখে রক্ত মাংসের মানুষ মাত্রেই প্রভাবিত হতে বাধ্য। ইনি আমেরিকার জিমন্যাস্ট অ্যালি রাইসম্যান। ইএসপিএন-এর বিখ্যাত বডি ইস্যু ম্যাগাজিনে এর নগ্ন শরীরে মোহিত হচ্ছে গোটা বিশ্ব। প্রত্যেক বছর যে কোনও এক জন বিশ্বখ্যাত ক্রীড়াব্যক্তিত্বকে নিয়ে এই ম্যাগাজিন প্রকাশ করে ইএসপিএন।
যাকে নিয়ে গোটা বিশ্বে আলোচনার অন্ত নেই, সেই অ্যালি কি বলছেন? তার কথায়, ‘আশঙ্কায় না ভুগে নিজের মাস্লগুলোকে ভালোবাসতে শিখেছি। আমি এটাকে কোনও খুঁত মনে করি না। কারণ এই পেশির কারণেই আমি আজ সারা বিশ্বে পরিচিত। পেশির জন্যই আমি জিমন্যাস্ট হতে পেরেছি।’ মাত্র ১৮ বছর বয়সে লন্ডন অলিম্পিকে দেশের হয়ে দু’টি সোনা এবং একটি ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন তিনি। সম্প্রতি লন্ডনের একটি অনুষ্ঠান ‘ডান্সিং উইথ দ্য স্টার্স’-এও অংশ নেন।
২১ বছর বয়সি কন্যা আরও জানাচ্ছেন, ‘অতি সাধারণ পোশাক পরে থাকলেও আপনি একজন জিমন্যাস্টকে চিনতে ভুল করবেন না। এই খেলার প্রচণ্ড শারীরিক শক্তির প্রয়োজন হয়। ফলে পেশিবহুল শরীর থাকা তো অত্যন্ত প্রয়োজন। আমি একটা টি-শার্ট পরে থাকলেও মাস্ল ফুটে ওঠে।’ সামনের বছর রিও অলিম্পিকের জন্য প্রচুর পরিশ্রমও করছেন তিনি। যখন নতুন কিছু চেষ্টা করেন, যত ক্ষণ না মনের মতো হচ্ছে, তত ক্ষণ অভ্যাস করাটাই তার স্বভাব। এক কথায় তিনি ‘পারফেকশনিস্ট’।
তাই অ্যালি-র ‘পারফেক্ট ফিগার’ নিয়ে ম্যাজাডিন করার কথা ভাবে ইএসপিএন। ২০০৯ থেকে এই ম্যাগাজিনে বিশ্বের তাবড় খেলোয়াড়রা মুখ দেখিয়ে ফেলেছেন। প্রথম বছর থেকে এই ম্যাগাজিনে মুখ দেখিয়ে ফেলেছেন বিশ্বজয়ী সাঁতারু রায়ান লোকটে, মাইকেল ফেলপ্স। টেনিস তারকা ভেনাস আর সেরেনা উইলিয়াম্স এবং আমেরিকার মহিলা ফুটবল দলের গোলকিপার হোপ অ্যামেলিয়া সোলো। এখন এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে অ্যালির নাম।