এমপিপুত্র রনিকে আরো রিমান্ডে চায় পুলিশ

SHARE

roniএলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়ে দুজনকে হত্যা মামলায় বখতিয়ার আলম রনিকে ফের সাতদিন রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেছে পুলিশ। রনি মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি পিনু খানের ছেলে।

রোববার ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে ফের সাত দিনের রিমান্ড চায় তদন্তকারী কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক দীপক কুমার দাস।

ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল হক মামলার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় আগামি ৩০ জুন রিমান্ড শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।

এর আগেও আদালতের নির্দেশে গত ৯ থেকে ১২ জুন চারদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এমপিপুত্র রনিকে। তবে রনি তার লাইসেন্সকৃত পিস্তল দিয়ে গুলির কথা স্বীকার করলেও আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি না দেয়ায় তাকে ফের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন জানানো হয়।

১৩ এপ্রিল রাত পৌনে দুইটার দিকে রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে রনি তার মা সংসদ সদস্য পিনু খানের জিপ গাড়ি থেকে এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়লে দৈনিক জনকণ্ঠের অটোরিকশাচালক ইয়াকুব আলী ও রিকশাচালক আবদুল হাকিম নিহত হন।

নিহত হাকিমের মা মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে ১৫ এপ্রিল রাতে অজ্ঞাত আসামিদের নামে রমনা থানায় একটি মামলা করেন।

গত ২৪ মে মামলাটির তদন্তভার মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে স্থানান্তর করা হয়। প্রযুক্তির সহায়তা ও অন্যান্য সোর্সের মাধ্যমে রনির ব্যবহৃত গাড়িটি শনাক্ত করা হয়। গত ৩১ মে জিপ গাড়িটির চালক ইমরান ফকিরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইমরান ফকির পুরো ঘটনার বর্ণনা দিলে রনিকে একই দিন ধানমন্ডি এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

গত ১ জুন দুজনকে আদালতে পাঠানো হলে ইমরান ফকির ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তবে রনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে অস্বীকার করলে রিমান্ড আবেদন করে ডিবি পুলিশ।

এদিকে ঘটনার দিন রনির সঙ্গে গাড়িতে থাকা তার বন্ধু টাইগার কামাল ও জাহাঙ্গীর ১৮ জুন এবং কামাল মাহমুদ ১৯ জুন আদালতে আত্মসমর্পণ করে সাক্ষ্য দেন। তারা তিনজনও সাক্ষ্যে বলেন, রনি তার লাইসেন্স করা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ওই জোড়া খুনের ঘটনা ঘটান। জিপ গাড়িটির চালক ইমরান ফকির ও ওই তিনজনকে মামলার সাক্ষী করা হতে পারে বলে জানিয়েছে ডিবি সূত্র।