জামায়াতের ইফতারে খালেদা জিয়া

SHARE

khaleda iftar partyদেশি-বিদেশি চাপে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে ১৬ বছরের সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে বিএনপির- রাজনৈতিক মহলে এমন প্রচারের মধ্যেই বৃহস্পতিবার দলটির ইফতার পার্টিতে যোগ দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।   যানজটের কারণে মাগরিবের আজানের চার মিনিট পর ইফতারে যোগ দেন খালেদা জিয়া। অনুষ্ঠানে বক্তৃতা না করলেও জামায়াত নেতাদের সঙ্গে হাসিমুখে কুশল বিনিময় করেন তিনি।   রাজনীতিক ও পেশাজীবীদের সম্মানে বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এই ইফতার পার্টির আয়োজন করে জামায়াত। দলের ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমেদের নামে আমন্ত্রণ জানানো হলেও, আত্মগোপনে থাকা এই নেতা গতবারের মতো এবারও ইফতারে অনুপস্থিত ছিলেন। দলের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমানসহ জামায়াতের শীর্ষস্থানীয় নেতারাও অনুপস্থিত ছিলেন। তাদের প্রায় সবাই বিভিন্ন মামলার আসামি হয়ে আত্মগোপনে কিংবা কারাগারে আছেন।   বিএনপি চেয়ারপারসন প্রায় ৪০ মিনিট অনুষ্ঠানস্থলে অবস্থান করেন। ইফতারের পর তাকে পাশে রেখে জামায়াত নেতারা আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।   ইফতারের আগে বক্তব্যে জামায়াতের নায়েবে আমির মজিবুর রহমান অভিযোগ করেন, জামায়াতের নেতাদের একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের নামে যড়যন্ত্রমূলক মামলায় হত্যা করা হচ্ছে।   তিনি বলেন, ‘প্রশ্নবিদ্ধ বিতর্কিত বিচার প্রক্রিয়ায় সরকার আবদুল কাদের মোল্লা ও মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।’   বর্তমান সরকারকে ‘জালেম’ আখ্যা দিয়ে এর পতনে ‘সীসাঢালা প্রাচীরের মতো’ ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।   খালেদা জিয়ার সঙ্গে ২০ দলীয় জোট নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এলডিপির সভাপতি অলি আহমদ বীর বিক্রম, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ নেজামী ও মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ, খেলাফত মজলিশের আমির মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক ও মহাসচিব আহমেদ আবদুল কাদের, জমিয়তে উলামা ইসলামের নায়েবে মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহম্মদ ইব্রাহিম, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, এনডিপির সভাপতি খন্দকার গোলাম মূর্তজা প্রমুখ।   বিএনপি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার, নজরুল ইসলাম খান, দলীয় মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন, যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা প্রমুখ।   জামায়াত নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের নির্বাহী পরিষদ সদস্য মাওলানা আব্দুল হালিম, কর্মপরিষদ সদস্য মতিউর রহমান আকন্দ, রেদোয়ান উল্লাহ শাহেদী, মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, মজলিশে শূরার সদস্য আবদুর রব, মশিউল আলম, মঞ্জুরুল ইসলাম ভুঁইয়া, যায়নুল আবেদিন, মোবারক হোসাইন প্রমুখ।