ছুটি শেষ হওয়ার একদিন আগেই কাজে যোগ দিয়ে প্রক্টরসহ প্রশাসনের চারটি পদে নিয়োগ দিয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মো. আমিনুল হক ভূঁইয়া।
প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় সরকার সমর্থক শিক্ষকদের একাংশ ভিসির কার্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। ফলে ভিসি ও রেজিস্ট্রার দপ্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারীরা কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকতে পারেননি। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চলছিল।
সকাল নয়টার দিকে কাজে যোগ দেন ভিসি মো. আমিনুল হক ভূঁইয়া। প্রক্টর হিসেবে বন ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক কামরুজ্জামান চৌধুরীকে নিয়োগ দেন ভিসি। নিয়োগপ্রাপ্ত তিনজন নতুন সহকারী প্রক্টর হলেন লোকপ্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সামিউল ইসলাম, গণিত বিভাগের প্রভাষক ওমর ফারুক ও আইপিই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জাহিদ হাসান। তারা সবাই সরকার-সমর্থক শিক্ষকদের একাংশ ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ’ এ সমর্থক।
যোগ দেয়ার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার সমর্থিত শিক্ষকদের আরেক অংশ ভিসির কার্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। সেখানে তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রেণীকক্ষ ও শিক্ষকদের বসার কক্ষ কে কয়টি পাবে, তা নিয়ে পদার্থবিজ্ঞান ও পুর এবং পরিবেশ (সিইই) বিভাগের দুই শিক্ষকের দ্বন্দ্ব ছিল। পরে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষকের পক্ষ নিয়ে পদার্থবিজ্ঞান এবং ভূগোল ও পরিবেশ (জিইই) বিভাগের বেশ কয়েকজন শিক্ষক এ বিষয়ে কথা বলতে গত ১২ এপ্রিল ভিসির দফতরে যান। এ সময় ভিসির স্ত্রীর অসুস্থতার খবর এলে তিনি তাদের বেশি দিতে চাননি। এ নিয়ে একজন শিক্ষক উত্তেজিত হয়ে ও উচ্চস্বরে কথা বলতে শুরু করেন। তখন ভিসি সবাইকে সংযত আচরণ করতে বলেন। বিষয়টিকে শিক্ষকদের ভিসির ‘অপমান’ হিসেবে অভিহিত করে ভিসির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে নামেন সরকার-সমর্থক শিক্ষকদের একাংশ। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভিসি দুই মাসের ছুটিতে যান। ছুটি শেষে ২৪ জুন তার কাজে যোগ দেয়ার কথা ছিল।
ভিসির পদত্যাগের দাবির বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার-সমর্থক দুই শিক্ষক ফোরাম বিপরীতমুখী অবস্থান নিয়েছে। রোববার দুপুরে এক পক্ষ প্রশাসনিক ভবনের সামনে ‘উপাচার্যের অপসারণের’ দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ও অপর পক্ষ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ‘বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা’ চলছে দাবি করে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এর মধ্যেই সকালে কাজে যোগ দিলেন ভিসি মো. আমিনুল হক ভূঁইয়া।