গম আমদানি নিয়ে কথাবার্তা ভিত্তিহীন: খাদ্যমন্ত্রী

SHARE

kamrulখাদ্য অধিদপ্তরে নিম্নমানের গম আমদানি বিষয়ে যেসব কথাবার্তা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। তিনি শনিবার জাতীয় সংসদে ৩০০ বিধিতে দেয়া এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।

খাদ্যমন্ত্রী বিবৃতিতে বলেন, ব্রাজিল থেকে আমদানি করা গম যেসব গুদামে রয়েছে, সেগুলো সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের কাছে চিঠি পাঠিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ১৫টি গুদামের গমের নমুনা এসে পৌঁছেছে। এগুলো পরীক্ষাগারে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে ১৫টি গুদামের গমের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল জানা যাবে। তখনই এ বিষয়ে গণমাধ্যমসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানানো হবে।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক কথাবার্তা বলার অবকাশ নেই। আমাদের সৎ সাহস আছে বলেই নমুনা পরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছি। নষ্ট গম কাউকে জোর করে দেয়া হবে না। প্রয়োজনে এগুলো ধ্বংস করা হবে।”

গম আমদানির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, গুদামে গমের মজুত কমে যাওয়ায় ইউক্রেন থেকে আড়াই লাখ টন গম আমদানির উদ্যোগ নেয়া হয়। সব কার্যক্রম সম্পন্ন করার পরও গম আমদানিতে বিলম্ব হতে থাকে। ইতিমধ্যে মজুত ৬৮ হাজার মেট্রিক টনে চলে আসে। মজুত তলানিতে চলে আসায়, অন্য দেশ থেকে গম আমদানির জন্য টেন্ডার দেয়া হয়। ব্রাজিল এই টেন্ডারে অংশ নেয়। তাদের সর্বনিম্ন দর হওয়ায় ক্রয় কমিটি ব্রাজিল থেকে গম আমদানির অনুমতি দেয়। তাদের গম আসার পর এর নমুনা মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন পর্যায়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জাহাজ থেকে গম খালাসের অনুমতি দেয়া হয়। নমুনা পরীক্ষার সময় দেখা গেছে, আমদানি করা গমগুলো দেখতে একটু লাল এবং ছোট দানা হলেও খাবার অনুপযুক্ত নয়।

খাদ্য মন্ত্রী বলেন, “পরবর্তীতে খাদ্য অধিদপ্তরের কোটেশন দেখে সন্দেহ হলে আবার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ৫ ও ৬নং প্যাকেজের এক লাখ টন গম আমদানির আদেশ বাতিল করা হয়। ইতিমধ্যে এসব গমের একটি নমুনা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছালে তিনিও স্বাভাবিকভাবেই এসব গম দেখে উষ্মা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকেরা সংশ্লিষ্ট গুদাম থেকে নমুনা পাঠাতে শুরু করেছেন। এগুলো পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করে ‘শিগগিরই’ প্রকৃত অবস্থা জানা যাবে। সূত্র: বাসস।