সুদানে ড্রোন হামলা, নিহত শতাধিক

SHARE

সুদানের কর্ডোফান অঞ্চলে ড্রোন হামলায় অন্তত ১০৪ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বী সামরিক গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে লড়াই তৃতীয় বছরেও নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। প্রায় তিন বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বী সামরিক গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। খবর আলজাজিরার।

প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চলা তীব্র লড়াইয়ের পর বাবনুসায় আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) একটি গুরুত্বপূর্ণ সেনা ঘাঁটি দখলের পর কেন্দ্রীয় অঞ্চলে হামলার ঘটনা ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছে।

দক্ষিণ কর্দোফানের কালোগিতে একটি কিন্ডারগার্টেন এবং একটি হাসপাতালে সবচেয়ে মারাত্মক হামলার খবর পাওয়া গেছে। সেখানে ৪৩ জন শিশু এবং আট নারীসহ ৮৯ জন নিহত হয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক বলেছেন, তিনি ‌‘শত্রুতার তীব্রতা বৃদ্ধিতে উদ্বিগ্ন’ এবং সতর্ক করে বলেছেন, হাসপাতালগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের লঙ্ঘন।
এর আগে গত ১৩ ডিসেম্বর দক্ষিণ কর্দোফানের রাজধানী কাদুগলিতে জাতিসংঘ মিশনের ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় ছয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত হন। জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস ওই হামলাকে ‘ভয়াবহ ড্রোন হামলা’ বলে অভিহিত করে এর নিন্দা জানিয়েছেন এবং উল্লেখ করেছেন যে শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা ‘আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে যুদ্ধাপরাধের শামিল হতে পারে’।

ওই হামলার একদিন পর ডিলিং মিলিটারি হাসপাতালে হামলার ঘটনা ঘটে। সুদান ডক্টরস নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, ওই হামলায় নয়জন নিহত এবং ১৭ জন আহত হয়েছে।
‘হাসপাতালগুলোকে পরিকল্পিত লক্ষ্যবস্তু করা’ হচ্ছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

সরকার-সমর্থিত সুদানিজ আর্মড ফোর্সেস (এসএএফ) এই হামলার জন্য আরএসএফ-কে দায়ী করেছে। যদিও আধাসামরিক গোষ্ঠীটি এসব অভিযোগে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।