দেশের সব নির্বাচন অফিসে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ

SHARE

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব ও রিটার্নিং অফিসারসহ দেশের সব নির্বাচন অফিসে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

নির্বাচন পরিচালনা শাখা থেকে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ (আইজিপি) সংশ্লিষ্টদের কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে।

ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপ-সচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট হবে। বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন তফসিল ঘোষণা করেছেন।
তফসিল ঘোষণার পরদিনই ঢাকায় একজন সম্ভাব্য প্রার্থী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এবং লক্ষ্মীপুর নির্বাচন অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে নিরাপত্তা জোরদারের উদ্যোগ নিল সাংবিধানিক সংস্থাটি।

ইসির উপ-সচিব জানান, চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিবের ‘পুলিশ এসকর্ট’ বাড়ানো; ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনার রিটার্নিং অফিসারদের জন্য ‘গানম্যান’ নিয়োগ ও অন্য রিটার্নিং অফিসারদের নিরাপত্তা বাড়ানো এবং সারাদেশের নির্বাচন অফিসের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে।

গতকালের ঘটনা (হাদির ওপর হামলা) এবং লক্ষ্মীপুর, মঠবাড়িয়ায় দুটি নির্বাচন অফিসে অগ্নিকাণ্ড ও সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান ইসি সচিব আখতার আহমেদ।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি, ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছেন ইসি সচিব।

সিইসি, কমিশনারসহ সচিবের বিশেষ নিরাপত্তা

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিবের সার্বিক নিরাপত্তা জোরদারের বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনারকে চিঠি পাঠানো হয়।

চিঠিতে এতে বলা হয়, তফসিল ঘোষণার পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার, অন্য চার নির্বাচন কমিশনার এবং সিনিয়র সচিবের বিশেষ নিরাপত্তা বিধান প্রয়োজন।

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে ৬৯ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পাঁচ শতাধিক সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন।
এরমধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার; ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং ৬৪ জেলা প্রশাসক রয়েছেন, যারা রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পেয়েছেন।

ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, জেলা প্রশাসকদের স্থানীয়ভাবে নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে এবং রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নিচ্ছেন। পাশাপাশি আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা রয়েছেন তিনজন; তাদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য বলা হয়েছে।

দেশের সব নির্বাচন অফিসে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা

আইজিপির কাছে পাঠানো ইসির চিঠিতে বলা হয়েছে, তফসিল ঘোষণার পর লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন অফিস ও পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া নির্বাচন অফিসে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এ অবস্থায় দেশের সব আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস, জেলা নির্বাচন অফিস, উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে গুরুত্বপূর্ণ নথি, নির্বাচনি সরঞ্জাম সংরক্ষিত আছে।

সরঞ্জামসহ আঞ্চলিক, জেলা, উপজেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ ফোর্স মোতায়েনের জন্য ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশন নির্দেশনা দিয়েছে।