ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন জানিয়েছেন, তিনি প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং চিকিৎসা নেওয়ার পর এখন বিষয়টি প্রকাশ্যে আনছেন। পুরুষদের স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ানোর আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
মূলত পুরুষদের সচেতন করতে নিজের অসুস্থতার কথা সামনে এনেছেন সাবেক এই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। সোমবার (২৪ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
৫৯ বছর বয়সী লর্ড ক্যামেরন দ্য টাইমস পত্রিকাকে জানান, নিক জোন্সের একটি বিবিসি রেডিও সাক্ষাৎকার শুনে তার স্ত্রী তাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে চাপ দেন। উদ্যোক্তা জোন্স নিজেও প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং এরপরই পুরুষদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাড়ানোর পক্ষে প্রচারণা শুরু করেন।
চলতি বছরের শুরুর দিকে ক্যামেরন পিএসএ টেস্ট করান। এই টেস্টে রক্তে প্রোস্টেট ক্যান্সারের সঙ্গে যুক্ত প্রোটিন শনাক্ত করে। টেস্টের রিপোর্টে পিএসএ অস্বাভাবিকভাবে বেশি আসে। এরপর এমআরআই স্ক্যান ও বায়োপসি করা হয়।
পরে তিনি ‘ফোকাল থেরাপি’ নামের একটি পদ্ধতিতে চিকিৎসা নেন। এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে আল্ট্রাসাউন্ডসহ বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে টিউমারের নির্দিষ্ট অংশ লক্ষ্য করে ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করা হয়।
মূলত যুক্তরাজ্যে পুরুষদের মধ্যে প্রোস্টেট ক্যান্সারই সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। প্রতি বছর দেশটিতে প্রায় ৫৫ হাজার মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হন।
প্রোস্টেট ক্যান্সার সাধারণত বয়স্কদের মধ্যে বেশি দেখা যায়, বিশেষত ৭৫ বছরের বেশি বয়সী পুরুষদের মধ্যে। তবে ৫০ বছরের নিচে যাদের বয়স তাদের মধ্যে এই রোগ বিরল। এছাড়া কৃষ্ণাঙ্গ পুরুষদের মধ্যেও এই রোগের ঝুঁকি অনেক বেশি।
ডেভিড ক্যামেরন বলেন, “ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলতে আমার খুব ভালো লাগে না, কিন্তু মনে হলো বলা উচিত। সত্যি বলতে, পুরুষরা তাদের স্বাস্থ্য নিয়ে তেমন কথা বলে না। আমরা বিষয়গুলো ফেলে রাখতে অভ্যস্ত।”
তিনি আরও বলেন, স্ক্যান করানোর সিদ্ধান্ত তার জীবনে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ এর মাধ্যমে দ্রুত রোগ শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়েছে।




