বাংলাদেশের জনপ্রিয় টেলিভিশন অভিনেত্রী ও নারী উদ্যোক্তা ফারজনা মাহমুদ (উপমা) দীর্ঘদিন ধরে ধর্মীয় উগ্রবাদী সংগঠন ও রাজনৈতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ধারাবাহিক হুমকি, নির্যাতন ও সহিংসতার মুখে নিরাপত্তাহীন হয়ে অবশেষে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তার বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটে, যা শুধু তার পেশাগত জীবন নয়—ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকেও চরম ঝুঁকিতে ফেলে দেয়।
২০২০ সালে তিনি খুলনায় “Farzana Agro Farm” নামে একটি কৃষি উদ্যোগ শুরু করেন। কোভিড-১৯ এর সময় এই ফার্ম স্থানীয় শতাধিক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে। কিন্তু ২০২৪ সালের রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ফার্মে হামলা চালায়, কর্মীদের হুমকি দেয় এবং শতাধিক গবাদিপশু লুট করে নিয়ে যায়।
২০২৫ সালে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নেয়।
জুন ২০২৫—তার কৃষি ব্যবসায় পুনরায় সন্ত্রাসী হামলা হয়; গবাদিপশুর একটি বড় অংশ লুট হয়ে যায়।
১০ নভেম্বর ২০২৫, রাত আনুমানিক ১১টার দিকে—সন্ত্রাসীরা ফার্মে আগুন ধরিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটায়।
এর আগে তার আরেক উদ্যোগ “উপমা টেইলার্স”-এও চাঁদাবাজি, হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। বারবার স্থানীয়ভাবে অভিযোগ জানালেও কার্যকর কোনও সুরক্ষা পাননি উপমা।
ধারাবাহিক এই সহিংসতা, হুমকি এবং জীবনঝুঁকির কারণে বাংলাদেশে আর নিরাপদ মনে না করায় তিনি দেশ ছাড়ার কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন। তার বক্তব্য অনুযায়ী, তিনি ও তার পরিবার এখনও গভীর আতঙ্কে রয়েছেন।
এই ঘটনা বাংলাদেশের নারীনেতৃত্বাধীন ব্যবসা ও শিল্প-সংস্কৃতির নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।




