ঘোষণা সংশোধন করে নির্বাচনের আগেই গণভোট দিতে হবে : গোলাম পরওয়ার

SHARE

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, একই দিনে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন নির্ধারণ করে সরকার জনগণকে অযথা সংকটে ফেলেছে। তিনি বলেন, ঘোষণা সংশোধন করে জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজন করা উচিত। জনগণের মতামতই হবে সরকারের প্রকৃত ভিত্তি।

শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) রাতে খুলনা মহানগরীর দৌলতপুর শহীদ মিনার চত্বরে আয়োজিত জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দৌলতপুর থানা জামায়াতে ইসলামী এ সমাবেশের আয়োজন করে।

মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, আগামী ২৬ সালের জাতীয় নির্বাচনের কোনো আইনি বৈধতা নেই। সংবিধান অনুযায়ী প্রতি পাঁচ বছর পর নির্বাচন হওয়ার কথা। সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছে ২০২৪ সালে। সংবিধানের অনেক ধারা ও অনুচ্ছেদ ইতোমধ্যে অকার্যকর হয়ে পড়েছে। সেখানে প্রধান উপদেষ্টা কীভাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হলেন তা সংবিধানে উল্লেখ নেই। বাংলাদেশের সংবিধানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনো বিধান নেই। সুপ্রিম কোর্টের একটি রেফারেন্সের ভিত্তিতে এই সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করেছে, কিন্তু এই রেফারেন্স কোনোভাবেই ক্ষমতা গ্রহণের ভিত্তি হতে পারে না। তাই বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেমন সংবিধানে নেই, তেমনি নির্বাচনের মেয়াদও সংবিধানে নেই। প্রধান উপদেষ্টার পদও সংবিধানে উল্লেখ নেই। সুতরাং জুলাই সনদই একমাত্র সংবিধানের অংশ হতে পারে এবং এর মাধ্যমেই সব বিষয়ে আইনি ভিত্তি দেওয়া সম্ভব।

দৌলতপুর থানা জামায়াতে ইসলামীর আমির মুহাম্মদ মুশাররফ আনসারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমির অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান। মহানগরী ব্যবসায়ী থানার সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান স্বপনের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন ও উপস্থিত ছিলেন দলের খুলনা অঞ্চল টিমের সদস্য মাস্টার শফিকুল আলম, খুলনা মহানগরী নায়েবে আমির অধ্যাপক নজিবুর রহমান, মহানগরী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল, সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শাহ আলম, প্রিন্সিপাল শেখ জাহাঙ্গীর আলম ও আজিজুল ইসলাম ফারাজী, খুলনা জেলা সহকারী সেক্রেটারি গাউসুল আযম হাদী, অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম, খুলনা মহানগরী ছাত্রশিবিরের সভাপতি আরাফাত হোসেন মিলন, খুলনা জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ইউসুফ ফকির, মহানগরী সেক্রেটারি রাকিব হাসান, মহানগরী যুববিভাগের সভাপতি মুকাররম বিল্লাহ আনসারী।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক, মুকাররম বিল্লাহ আনসারী, অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, মাওলানা শাহারুল ইসলাম, মাওলানা শেখ মো. অলিউল্লাহ, খুলনা সদর থানা আমির এস এম হাফিজুর রহমান, খালিশপুর থানা আমির মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন, দৌলতপুর থানা সেক্রেটারি মাওলানা মহিউদ্দিন, কাউন্সিলর প্রার্থী হুমায়ুন কবীর, ডা. সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া, বিএল কলেজের সাবেক ভিপি অ্যাডভোকেট শেখ জাকিরুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রনেতা মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী, মতিয়ার রহমান, মাওলানা হাবিবুর রহমান প্রমুখ।