গুলিস্তানে আওয়ামী লীগ অফিসে ভাঙচুর, আগুন

SHARE

রাজধানী ডেস্ক

ঢাকা: শেখ হাসিনার মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রায়ের তারিখ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার মধ্যে আজ (১৩ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইনকিলাব মঞ্চের ব্যানারে একটি মিছিল থেকে ১৫-২০ জনের একটি দল আওয়ামী লীগ অফিসের ভিতরে ঢুকে তার ম্যুরাল ভাঙচুর করে এবং চতুর্থ তলার ফাঁকা জায়গায় কাঠ ও অন্যান্য বস্তু জড়ো করে আগুন ধরিয়ে দেয়। কিছু ব্যানার স্তুপ করে তাতেও আগুন দেওয়া হয়, ফলে ওই ভবন থেকে ধোঁয়া উঠে। হামলার সময় হামলাকারীরা ‘আওয়ামী লীগের আস্তানা ভেঙে দাও’ এবং ‘আওয়ামী লীগের কালো হাত, ভেঙে দাও’সহ নানা স্লোগান দেয়।

এদিন সকালে, গুলিস্তানসহ ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগ বিরোধী বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে মিছিল বের করে এবং তারা বিভিন্ন স্লোগান দেয়। আইনি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ ওই এলাকায় কয়েক দফা টহল দেয়, তবে হামলার সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল না।

পল্টন থানার পুলিশ জানায়, তাদের কাছে অফিসে আগুন দেওয়ার বা ভাঙচুরের খবর ছিল না। তবে, ডিউটি অফিসার এসআই নিশাত জানান, কিছু মানুষ কাঠ দিয়ে আগুন ধরিয়েছে এবং কিছু ভাঙচুর ঘটেছে। তবে এটি বড় ধরনের আগুন ছিল না বলে তিনি মন্তব্য করেন।

পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা এস আই আল আমিন জানান, সকাল থেকেই জামায়াতে ইসলামী, ইনকিলাব মঞ্চ, জুলাই সংসদসহ কয়েকটি রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে অবস্থান নিয়েছিল। তারা দেওয়ালে টেরাকোটার নকশা তুলে ফেলার চেষ্টা করছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে তিনি জানান।

এদিকে, আগামী ১৭ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রায় ঘোষণা করবে, এ কারণে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ বিরোধী দলগুলো। এর আগেও, গত কয়েক দিন ধরে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বোমাবাজি ও যানবাহনে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

এদিনের হামলা আবারও বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির উত্তেজনা বৃদ্ধি করেছে, এবং বিশেষত আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে সংঘটিত এই সহিংসতা দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলার প্রতিফলন হিসেবে দেখা যাচ্ছে।