নরওয়ের বিশ্বকাপ স্বপ্নপূরণে আবারও ত্রাতা হয়ে উঠলেন আর্লিং হালান্ড। মঙ্গলবার অসলোর উলেভাল স্টেডিয়ামে মলদোভার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক নয়, এক ম্যাচেই পাঁচ গোল করেছেন ম্যানচেস্টার সিটির এই তারকা, সঙ্গে সহায়তা করেছেন আরো দুটি গোলে। নরওয়ে ম্যাচটি জিতেছে ১১-১ গোলের ব্যবধানে।
এই পারফরম্যান্সের পর নরওয়ের হয়ে হালান্ডের গোল সংখ্যা দাঁড়াল ৪৫ ম্যাচে ৪৮।
এর আগে প্রিমিয়ার লিগে প্রথম ১০০ ম্যাচে সর্বোচ্চ ৮৮ গোল করে নতুন রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি।
ম্যাচের শুরুতেই ষষ্ঠ মিনিটে ফেলিক্স হর্ন মিহরের গোলে অ্যাসিস্ট করেন হালান্ড। এরপর প্রথমার্ধের ১১,৩৬ ও ৪৩ মিনিটে গোল করে ৩২ মিনিটের ব্যবধানে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন তিনি। বিরতির পর সপ্তম মিনিটে নিজের চতুর্থ গোল এবং ৮৩ মিনিটে পঞ্চম গোল করেন এই তারকা।
এই গোলের মাধ্যমে চলমান বাছাইপর্বে তার গোলসংখ্যা দাঁড়ায় ৯— যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
এটি নরওয়ের হয়ে এক ম্যাচে তার প্রথম পাঁচ গোলের কীর্তি। এর আগে ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে দু’বার এমন কীর্তি গড়েছিলেন। তার দুটি গোলের অ্যাসিস্ট করেছেন আর্সেনালের মিডফিল্ডার মার্টিন ওডেগার্ড।
বিরতির আগে নিজেও একটি গোল করেন এই মিডফিল্ডার। দ্বিতীয়ার্ধে রেঞ্জার্সের তরুণ থেলো আসগার্ড বদলি নামার পর একাই করেন চার গোল।
৬৪ মিনিটে বদলি নামার পর ৬৮, ৭৬ ও ৭৯ মিনিটে ১১ মিনিটের ব্যবধানে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করে যোগ করা সময়ে হালান্ডের পাশ থেকে করেন নিজের চতুর্থ গোল।
৭৪ মিনিটে লিও ওস্তিগার্ডের আত্মঘাতী গোলে মলদোভা সান্ত্বনার গোল পায়। তবে নরওয়ে ম্যাচটি শেষ করে ১১-১ ব্যবধানে, যা তাদের ইতিহাসে তৃতীয়বারের মতো এক ম্যাচে ১১ গোলের কীর্তি।
তবু ১৯৪৬ সালে ফিনল্যান্ডের বিপক্ষে ১২-০ জয়ের রেকর্ড ছাড়াতে পারেনি তারা।
এই জয়ে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ ‘আই’-এর শীর্ষে থাকা নরওয়ে ইতালির চেয়ে ছয় পয়েন্ট এগিয়ে গেল। ইউরো ২০০০-এর পর কোনো বড় টুর্নামেন্টে খেলতে পারেনি নরওয়ে। সর্বশেষ বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিল ১৯৯৮ সালে। অর্থাৎ, হালান্ড এখনো দেশের হয়ে কোনো বড় আসরে খেলেননি।
স্টালে সলবাকেনের দল এখন পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচেই জয় পেয়েছে। পরের দুই ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ ইসরায়েল ও এস্তোনিয়া, এরপর ১৬ নভেম্বর ইতালির বিপক্ষে হতে পারে সম্ভাব্য শিরোপা-নির্ধারণী ম্যাচ।
উল্লেখ্য, শুধু গ্রুপ চ্যাম্পিয়নরাই সরাসরি জায়গা পাবে ২০২৬ বিশ্বকাপে। রানার্স-আপ দলকে লড়তে হবে প্লে-অফে।