নোবেল পুরস্কার নয়, আমি শুধু জীবন বাঁচাতে চাই : ট্রাম্প

SHARE

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ের আগ্রহ নিয়ে কয়েক সপ্তাহের জল্পনাকে গুরুত্বহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন বলে বিবিসি বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ট্রাম্প সিবিএস নিউজকে বলেছেন, ‘এ নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। আমি যা করতে পারি, তা হলো যুদ্ধ থামানো। আমি কারো মন চাই না।
আমি শুধু জীবন বাঁচাতে চাই।’

তবে তার এই বক্তব্য অতীতের কিছু মন্তব্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কারণ এর আগে তিনি দাবি করেছিলেন, একাধিক সংঘাতের অবসানে ভূমিকা রাখায় তাকে এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার দেওয়া উচিত।

একই টেলিফোন সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানান, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি চুক্তি আনতে তিনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তার ভাষায়, ‘কিছু একটা ঘটবেই। আমরা এটা সম্পন্ন করব।’

ট্রাম্প বৃহস্পতিবার প্যারিসে বৈঠকরত ইউক্রেনপন্থী ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তার বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ সশরীরে বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন।

আগামী ১০ অক্টোবর নরওয়ের নোবেল কমিটি শান্তি পুরস্কারের বিজয়ীর নাম ঘোষণা করবে। এ পর্যন্ত চার মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই সম্মান পেয়েছেন, যার মধ্যে ট্রাম্পের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বারাক ওবামাও আছেন। গত ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্প আক্ষেপ করে বলেন, ‘তারা আমাকে কখনো নোবেল শান্তি পুরস্কার দেবে না। আমি এটা পাওয়ার যোগ্য, কিন্তু কখনোই দেবে না।’

জুলাইয়ে তার প্রেসসচিব ক্যারোলিন লেভিট একই সুরে বলেন, অনেক আগেই ট্রাম্পের পুরস্কার পাওয়ার কথা ছিল।
ট্রাম্পের মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরাও এ দাবি তুলেছেন। গত সপ্তাহে এক বৈঠকে বিশেষ দূত উইটকফ ট্রাম্পের ‘গেম-চেঞ্জিং’ ভূমিকাকে কেন্দ্র করে তাকে ইতিহাসের ‘সেরা নোবেল প্রার্থী’ আখ্যা দেন।

নরওয়ের পার্লামেন্ট পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট নোবেল প্যানেল নিয়োগ করে। গণমাধ্যমে খবর এসেছে, ট্রাম্প নরওয়ের অর্থমন্ত্রী জেন্স স্টলটেনবার্গের সঙ্গে নোবেল পুরস্কার প্রসঙ্গে আলাপ করেছেন—যদিও স্টলটেনবার্গ এ দাবি অস্বীকার করেননি বা নিশ্চিতও করেননি।

ট্রাম্পকে কয়েকটি দেশ নোবেলের জন্য মনোনয়ন দিয়েছে, যার মধ্যে ইসরায়েল ও পাকিস্তানও আছে। তিনি দাবি করেছেন, এ বছর পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমিত করার কৃতিত্ব তার।

ট্রাম্প আরো বলেছেন, তিনি ‘ছয় থেকে সাতটি যুদ্ধ শেষ করেছেন।’ তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এগুলোর কিছু সংঘাত কেবল কয়েক দিনের ছিল, যদিও তার পেছনে দীর্ঘস্থায়ী টানাপড়েন ছিল। এ শান্তি চুক্তিগুলো টেকসই হবে কিনা, তা এখনো অনিশ্চিত।