কাশ্মীরের পেহেলগামে সম্প্রতি পর্যটকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এর প্রভাব পড়ছে দুই দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গন ও ক্রীড়াক্ষেত্রেও। ভারতে উঠেছে পাকিস্তানি শিল্পী ও অভিনেতাদের বয়কটের দাবি, এমনকি ক্রিকেটেও তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।
এই প্রেক্ষাপটে গুঞ্জন উঠেছিল, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ম্যাচ আয়োজন নিয়ে অনিচ্ছুক বিসিসিআই।
শুধু তাই নয়, আসন্ন এশিয়া কাপ ও আইসিসি টুর্নামেন্টগুলোতেও ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের মুখোমুখি না হওয়ার আভাস মেলে। ফলে ২০২৫ সালের এশিয়া কাপ আয়োজন নিয়েই দেখা দেয় জটিলতা।
তবে এমন অনিশ্চয়তার মাঝেই আশার আলো দেখিয়েছে ক্রিকবাজ। তাদের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) এখনো সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপ আয়োজনের প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে।
সবকিছু ঠিক থাকলে সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে শুরু হতে পারে টি-টোয়েন্টি সংস্করণের এই টুর্নামেন্ট, সম্ভাব্য তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর।
প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। আয়োজক হিসেবে এখনো ভারতের নাম থাকলেও, ২০২৩ সালের মতো এবারও ‘হাইব্রিড মডেল’-এ টুর্নামেন্ট আয়োজনের কথা ভাবা হচ্ছে। অর্থাৎ, ম্যাচগুলো ভারত ছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হতে পারে।
যদিও এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি, তবে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহেই এসিসির বৈঠকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা আসতে পারে।
এশিয়া কাপকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে একটি প্রচারণামূলক ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে, যেখানে ভারতের সূর্যকুমার যাদব, বাংলাদেশের নাজমুল হোসেন শান্ত এবং শ্রীলঙ্কার চরিথ আসালাঙ্কাকে দেখা গেছে।
তবে সবকিছু ঠিক না থাকলে বিকল্প পরিকল্পনাও তৈরি রেখেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। ভারত অংশ না নিলে আফগানিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে নিয়ে একটি ত্রিদেশীয় সিরিজ আয়োজনের চিন্তা করছে তারা।
পিসিবির এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারতের মাটিতে এশিয়া কাপ আয়োজন কঠিন।
তাই আমরা বিকল্প পরিকল্পনার দিকেও নজর দিচ্ছি।’
প্রসঙ্গত, বর্তমানে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন পিসিবি চেয়ারম্যান মোহসিন নাকভি। তার নেতৃত্বেই এশিয়া কাপ ২০২৫-এর ভাগ্য নির্ধারিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।