পবিত্র কাবাঘরে ১২০ কেজি স্বর্ণের নতুন গিলাফ

SHARE

পবিত্র কাবাঘরের গিলাফ পরিবর্তন করা হয়েছে। বুধবার (২৫ জুন) পবিত্র মসজিদুল হারামে এশার নামাজ শেষ হওয়ার পর তা পরিবর্তন করা হয়। এ সময় সৌদি আরবের রাজপরিবারের প্রতিনিধি ও মসজিদুল হারামের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে খাদিমুল হারামাইন বাদশাহ সালমানের পক্ষে মক্কা অঞ্চলের উপ-আমির এবং হজ ও ওমরাহবিষয়ক স্থায়ী কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান প্রিন্স সাউদ বিন মিশাল মসজিদুল হারামের সিনিয়র কিপার আবদুল মালিক বিন তাহা আল-শাইবির কাছে পবিত্র কাবার নতুন গিলাফ হস্তান্তর করেন।

প্রতি হিজরি নববর্ষের প্রথম দিন পবিত্র কাবাঘরের গিলাফ পরিবর্তন করা হয়। ২৫ জুন ছিল হিজরি নববর্ষ ১৪৪৭-এর প্রথম প্রহর। পবিত্র কাবাঘরের গিলাফকে বলা হয় কিসওয়া। নতুন গিলাফ তৈরি করা হয় কিং আবদুল আজিজ কমপ্লেক্স ফর হলি কাবা কিসওয়াতে।

মূলত ইসলামের প্রথম যুগ থেকে প্রায় দেড় হাজার বছর ধরে জিলহজ মাসের ৯ তারিখ আরাফাত দিবসে কাবাঘরের গিলাফ পরিবর্তনের রীতি ছিল। ২০২২ সাল মোতাবেক ১৪৪৪ হিজরি থেকে কাবার গিলাফ পরিবর্তনের সময়সূচিতে পরিবর্তন করে সৌদি সরকার। তখন থেকে হিজরি নববর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে মহররমের প্রথম রাতে গিলাফ পরিবর্তন করা হয়।

এতে ব্যবহার করা হয় প্রাকৃতিক কালো রঙের সিল্ক কাপড়।
স্বর্ণ ও রুপার তৈরি সুতা দিয়ে তাতে নকশা করা হয়। উচ্চতায় গিলাফের দৈর্ঘ্য ১৪ মিটার। ওপরের এক-তৃতীয়াংশে একটি বেল্ট রয়েছে, যা ৯৫ সেন্টিমিটার চওড়া এবং ৪৭ মিটার লম্বা।

কিসওয়া বা কাবার গিলাফে ইসলামী কারুকাজযুক্ত ১৬টি কাপড় যুক্ত করা হয়। আর পাঁচ টুকরা কাপড় জোড়া দিয়ে তৈরি করা হয় বিশাল এই গিলাফ।
কিসওয়া তৈরি করতে এক হাজার কেজি সিল্ক, ১২০ কেজি স্বর্ণ এবং ১০০ কেজি রুপা ব্যবহার করা হয়।

তথ্যসূত্র : আরব নিউজ