মালয়েশিয়ায় অবৈধ বিদেশিকর্মীদের নিবন্ধনে ঘুষ গ্রহণ, সহায়তা ও প্ররোচনার অভিযোগে ইমিগ্রেশন বিভাগের তিন কর্মকর্তাসহ পাঁচজনকে আটক করেছে দেশটির দুর্নীতি দমন কমিশন (এমএসিসি)। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন তিনজন এনফোর্সমেন্ট অফিসার, একজন স্থানীয় কোম্পানির ব্যবস্থাপক এবং একজন বিদেশি নাগরিক। তাদের বয়স ২০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।
সোমবার (২৩ জুন) স্থানীয় সময় সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত পুত্রজায়া ও কেলানটান রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। অভিযানে অংশ নেয় এমএসিসির গোয়েন্দা বিভাগ।
কমিশনের প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, আটক কর্মকর্তারা ‘আরটিকে প্রোগ্রাম’-এর আওতায় বিদেশিকর্মীদের নিবন্ধনের প্রক্রিয়ায় একাধিকবার ঘুষ লেনদেন করেছেন। প্রতিটি আবেদন অনুমোদনের জন্য ঘুষের পরিমাণ ছিল আনুমানিক ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার রিঙ্গিত।
এমএসিসির সিনিয়র পরিচালক দাতুক ইদ্রিস জাহারুদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, এ ঘটনায় আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালের দুর্নীতি দমন আইনের ১৭(এ) ধারা অনুযায়ী তদন্ত শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে কেলানটানের কোটা বাহরু ম্যাজিস্ট্রেট আদালত পাঁচজনকেই সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন, যা চলবে ৩০ জুন পর্যন্ত।
এমএসিসির একটি সূত্র জানিয়েছে, আগের আরটিকে প্রোগ্রাম চলাকালীন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক এজেন্টরা অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতার নামে প্রতারণা করেছে—যার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের যোগসাজশ ছিল। এই সিন্ডিকেট ভাঙতেই চলমান অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।